ভারতের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। স্থানীয় সময় রবিবার ১৯ নম্বর সেক্টরের একটি তাঁবুতে আগুন ধরে যাওয়ার তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, তাঁবুর ভিতরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। আগুনের জেরে প্রায় ৫০টি তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
কুম্ভমেলার জন্য প্রয়াগরাজে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছে। বিস্তীর্ণ মেলাপ্রাঙ্গণে জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছেছিল। তাই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল কর্মীরা এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র একটি দলও সেখানে পৌঁছে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেক্টর ১৯-এর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মেলায় মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরা। পুণ্যার্থীদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আখড়া থানার ইনচার্জ ভাস্কর মিশ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দু’টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে এবং তার জেরে তাঁবুগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু
চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।