সাবেক মন্ত্রী মহিবুল ও নসরুলের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
Published: 19th, January 2025 GMT
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও তার স্ত্রী সীমা হামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা কমলেশ মন্ডল আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
নওফেলের আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর বা স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
নসরুল হামিদের নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, নসরুল হামিদের স্ত্রী সীমা হামিদ (৫৮) তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্য এর হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
আসামি নসরুল হামিদ ওরফে নসরুল হামিদ বিপু দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করতে সহায়তা করেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আয়কর নসর ল হ ম দ জ ঞ ত আয় মন ত র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।
সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল