পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় জুলুমতন্ত্র কায়েম হয়েছে: মামুনুল হক
Published: 19th, January 2025 GMT
পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীতে পশ্চিমারা জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘‘পৃথিবীজুড়ে পশ্চিমা সভ্যতা যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, এ ব্যবস্থা ভোগবিলাসের অর্থব্যবস্থা, এ অর্থব্যবস্থা গরিবের রক্তশোষণ করে বড়লোকদের আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করার অর্থব্যবস্থা। আর এ অর্থব্যবস্থা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমারা গোটা পৃথিবীতে জুলুমতন্ত্র কায়েম করছে।’’
এ ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্যে একমাত্র বিকল্প ইসলাম ও খেলাফত বলে জানান তিনি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ইটা ইসলামিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ইটা চা-বাগান ঈদগাহ ময়দানে ১৪তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘‘বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যারা রাজনীতির চর্চা করেন, সংগঠন করেন, নেতৃত্ব দেন; তাদের অবস্থা হলো, ৫-১০-১৫ বছর ইনভেস্ট কর, ক্ষমতায় আসতে পারবে। সব ইনভেস্ট সুদে-আসলে উশুল করে নেবে। যারা রাজনীতি করে তাদের সকলের ইচ্ছা থাকে পার্টি ক্ষমতায় গেলে সব উশুল করে নেবো।’’
তিনি বলেন, ‘‘প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার মাঝে কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রকৃতঅর্থে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। কারণ এ ব্যবস্থার সিস্টেমের মধ্যে সেটা নাই। জনগণের অধিকার হনন করে, রাষ্ট্রীয়সম্পদ চুরি করে এক দলের উপর আরেকদল লালিত পালিত হয়।’’
মামুনুল হক আরো বলেন, ‘‘প্রশ্ন হলো, পার্টি ক্ষমতায় গেলে যে সব উশুল করবেন, এই সম্পদ আপনাকে কে দেবে? কোথাও থেকে বৈধ উপায়ে দেওয়ার কেউ নেই। উপায় একটাই, রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করতে হবে, জনগণের সম্পদ চুরি করতে হবে, মানুষের অধিকার হনন করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সম্পদ চুরি করে যারা খায়, এটা বৈধ সম্পদ নয়, এ সম্পদ হলো জাহান্নামের আগুন। প্রচলিত রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে এভাবে এক শ্রেণির মানুষ, তারা হারামখুরি করে জনগণের সম্পদ চুরি করেন। তারা ক্ষমতায় গেলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেন। আবার ক্ষমতা হারিয়ে গেলে শুরু হয় তাদের ইনভেস্টমেন্ট।’’
ইসলামী মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাও.
ঢাকা/আজিজ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত য় ব যবস থ জনগণ র র জন ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কখনো বলিনি, আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা কখনো এ কথা বলিনি যে, আগে নির্বাচন, তার পরে সংস্কার। এটা যদি কেউ বলে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যে সংস্থার দরকার, সেটা করতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “যারা সংস্কার করতে এসেছেন, তারা জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করলে বিএনপি তা সমর্থন করবে না। জনগণ যেটা চাইবে, আমরা সেটাকেই সমর্থন করব।”
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা সুশাসনের জন্য ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে। এটাই একমাত্র ব্যবস্থা, যেখানে মানুষের বক্তব্য বিবেচনায় নেওয়া হয়, নির্বাচিত সরকার দেশ চালায়। এই যে আমরা একটা ভয়ে থাকি যে, রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে যায়। স্বৈরাচার হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। সুতরাং, এখানে গণতন্ত্রের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা, তা না হলে আওয়ামী লীগের মতোই অবস্থা হবে, ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিএনপির সময়ে কখনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বা কর্তৃত্ববাদের উত্থান হয়নি।
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশজুড়ে একটা প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি আগে নির্বাচন চায়। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরাই সংস্কারের প্রবক্তা, আমরাই সংস্কার চেয়েছি।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হিমেল/রফিক