বিপিএলের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করতে হয়েছে এবারের বিপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা কম। যে কারণে পর্যাপ্ত মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটার আনা সম্ভব হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পক্ষে। একই সঙ্গে সিপিএল, বিগব্যাশের মতো টুর্নমেন্ট হওয়ায় তারকা ক্রিকেটার পাওয়া কঠিন হয়েছে। 

বিদেশি বড় নাম কম থাকায় স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য খুলে গেছে দুয়ার। সমকালকে সাক্ষাৎকারে মেহেদী মিরাজ যেমন বলেছেন- দু’জন স্থানীয় ক্রিকেটার বেশি খেলাতে পারা মানে একটা সুযোগ। তাদের জন্য প্রমাণের দরজা খুলে যাওয়া। 

এবারের বিপিএলে স্থানীয় অনেক ক্রিকেটার ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন। স্লগে এখন পর্যন্ত নুরুল হাসান সোহান ভালো করেছেন। রংপুর রাইডার্সের টানা জয়ে ব্যাট হাতে ভালো করেছেন সাইফ হাসান। খুলনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করতে দেখা গেছে। ইয়াসির আলী রাব্বি আবার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

ব্যাট হাতে ভালো করেছেন জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলা জাকির হাসান। তিনি অফ ফর্মের কারণে মধ্যে টেস্ট দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। ঢাকা জয় না পেলেও তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে রান আসছে। এসব ভালো খবরের মধ্যে জাতীয় দলের ব্যাটারদের ব্যাটে রান না থাকাটা দুশ্চিন্তার কারণও বটে। 

যেমন জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একেবারেই রান পাচ্ছেন না। গোল্ডেন ডাক দিয়ে তিনি এবারের বিপিএল শুরু করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে করতে পারেন ১০ বলে মাত্র ৯ রান। যে কারণে তৃতীয় ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি শান্তর। মুশফিকের ইনজুরির কারণে উইকেটরক্ষক হিসেবে একাদশে ঢুকেও ব্যর্থ হন তিনি। যে কারণে চট্টগ্রামে রোববার চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে পুনরায় একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন এই ব্যাটার। 

একাদশ থেকে জায়গা না হারালেও ব্যাটে ঠিক রান পাচ্ছেন না তাওহীদ হৃদয়। সাত ম্যাচের মধ্যে দুটিতে তিনি মোটামুটি রান পেয়েছেন। এক ম্যাচে শুরু পেয়েছিলেন। বাকি তিনটিতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তার। 

হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেন। পরের ম্যাচে ৬ বলে ৪ রানে আটকে যান। তৃতীয় ম্যাচে ১৪ বলে করেন ১৩। মধ্যে সিলেটে ২৭ বলে ৪৮  রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেললেও দলের দরকারের সময়ে রংপুরের বিপক্ষে আউট হওয়ায় হারে বরিশাল। সর্বশেষ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪ বলে করেছেন ১ রান। 

লিটন দাসের রান খরার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। সিলেটে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ঢাকার মতো চট্টগ্রাম পর্বে ব্যর্থ হওয়ায় দুয়ো শুনতে হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারের। অফ ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। যদিও রান না করেও শান্ত-হৃদয়-মুশফিকরা আছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। 

রান না পেয়েও অনেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন। আবার রান না পাওয়ায় কেউ বাদ পড়েছেন। রান না পেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আছেন এমন ঘটনাও চোখের সামনে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, এবারের বিপিএল এমন উইকেটে হচ্ছে যে, সাব্বিরও পান পেয়েছে। যে কারণে বিপিএলের পারফরম্যান্সকে সেভাবে মূল্যায়ন করেননি তারা। লিটন আগে থেকে ফর্মে না থাকায় বাদ দেওয়া হয়েছে এবং টেকনিকের কারণে তার ব্যাটিং এক্সপোজ (উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া) হয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন। সবাই রান পাওয়া বিপিএলে লিটন, শান্ত, হৃদয়দের রান না পাওয়া নিশ্চয় টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য দুশ্চিন্তার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল জ ত য় দল র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ