রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। 

বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের মো. শাহ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে, সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো.

মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাস (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)। তাদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। 

৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ঘাটিয়াল বাবলু চোরাই পথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ আছে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল। হুন্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পান যে, নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশে জঙ্গলে রেখেছেন। এ খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিলেন। আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির এই নেতা-কর্মীরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তারা হুমকি দেন যে, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনে-হিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ মামলা করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাসের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাড়িতে নেই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।’

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচি হাস্যকর: ছাত্রদল সভাপতি

ফেব্রুয়ারি মাসে ডাকা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচি কিছুটা উদ্বেগের ও হাস্যকর, তাদের কর্মসূচি ছাত্র সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সাভার উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নিয়ম বহির্ভূত কাজে কেউ লিপ্ত থাকলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।”

আরো পড়ুন:

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন- ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা 

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ