দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন। পাস করেছেন ৬০ হাজার ৯৫ জন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার পর এই ফল প্রকাশ করা হয়। 

যেভাবে ফল জানবেন শিক্ষার্থীরা

ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইট https://result.

dghs.gov.bd/mbbs/ থেকে ফল জানতে পারবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও https://dgme.portal.gov.bd/ ফলবিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনের সময় দেওয়া মুঠোফোন নম্বরে ফল পাওয়া যাবে।

লিখিত পরীক্ষার নম্বর বিভাজন কীভাবে

বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হলো জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজিতে ১৫ ও সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় ১ (এক) ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হয়। কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর প্রদান করলে উত্তরটি ভুল বলে গণ্য করা হয়। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যায়। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) নম্বরের কম পাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস বা সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচিত হন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন। পাস করেন ৬০ হাজার ৯৫ জন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাস করা ৬০ হাজার ৯৫ জনের মধ্যে ছেলে ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মেয়ে ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।

৩৭ সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০ আসনে এবং ৬৭ অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ পরীক্ষার্থীদের ৩৭ সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল ব্যতীত দেশের সমতল অঞ্চলের উপজাতীয় কোটার শিক্ষার্থীদের তালিকা কোটার স্বপক্ষে সনদ বা প্রমাণসমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইয়ের পর প্রকাশ করা হবে।

সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদনের জন্য আগামী ২৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। 

গত শুক্রবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ ম ড ক ল কল জ পর ক ষ র থ পর ক ষ য র জন য দশম ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরোপের সেরা ৫ বৃত্তি

সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ

সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে স্কলারশিপ পেলে কোনো ফান্ড ছাড়াই সুইডেনে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। সুইডেনে স্নাতকোত্তর করতে আগ্রহী হলে এই স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে। সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে প্রদত্ত স্কলারশিপ টিউশন ফি ছাড়াও জীবনযাত্রার ব্যয়, বীমা এবং ভ্রমণ খরচ কাভার করে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশকিছু দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।  
স্কলারশিপ সম্পর্কে  তথ্য পেতে 
https://si.se/en/apply/scholarships/

ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট বার্সারিজ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট

ইতালির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ইউরো খরচে পড়াশোনার সুযোগ। সেখানে একটি স্কলারশিপ পেলে টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি জীবনযাত্রার খরচের জোগানও পাওয়া যাবে। সাধারণত ডিগ্রি কোর্স, পিএইচডি কোর্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলারশিপ অফার করে। ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট বার্সারিজ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে 
https://en.unito.it/studying-unito/scholarships-international-students

ব্রিটিশ শেভেনিং স্কলারশিপ

শেভেনিং অ্যাওয়ার্ড সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে– শেভেনিং স্কলারশিপ এবং শেভেনিং ফেলোশিপ। ব্রিটিশ দূতাবাস এবং হাইকমিশন কর্তৃক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্কলারশিপ গ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয়। এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ টিউশন ফি, নির্দিষ্ট হারে আবাসিক ভাতা, যুক্তরাজ্যে একটি ইকোনমি ক্লাসের রিটার্ন বিমানের ভাড়া এবং ওয়ার্কশপের জন্য অন্যান্য ভ্রমণ খরচ কভার করে। 
শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদনের তারিখ, পদ্ধতি এবং অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জারা যাবে– 
https://www.chevening.org/

আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম

ফ্রান্স ইতোমধ্যে বিনা টিউশনে শিক্ষার জন্য পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ সংস্থা ক্যাম্পাস ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে সহায়তা করে। আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম মাসিক ভাতা, রিটার্ন ট্রিপ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য বীমার খরচ কাভার করে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নশীল দেশ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে উন্নয়নশীল ও শিল্পোন্নত থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। 
আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপে আবেদন করতে https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ

সুইজারল্যান্ড কম খরচে পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত হলেও এখানকার জীবনযাত্রার খরচ বেশি এবং ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের কাজ করার অনুমতিও পাওয়া যায় না। তাই সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয় এখানে। মূলত সুইজারল্যান্ডের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে যে কোনো একাডেমিক ক্ষেত্রে পোস্টডক্টরাল বা ডক্টরাল গবেষণা করার জন্য এই স্কলারশিপ অফার করা হয়। প্রতি বছর সুইস কনফেডারেশন সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য ১৮০টিরও বেশি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিনিময় এবং গবেষণা সহযোগিতার প্রচারের জন্য গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রদান করে। এটির মাধ্যমে টিউশন ফি, মাসিক ভাতা, লোডিং ভাতা এবং স্বাস্থ্য বীমা পাওয়া যায়। ফেডারেল কমিশন ফর স্কলারশিপ ফর ফরেন স্টুডেন্টস (এফসিএস) কর্তৃক স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিধারী তরুণ গবেষকদের সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপের জন্য নির্বাচন করা হয়।  বিস্তারিত জানতে 
https://www.sbfi.admin.ch/sbfi/en/home/education/scholarships-and-grants/swiss-government-excellence-scholarships.html

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউরোপের সেরা ৫ বৃত্তি