লোহাগড়ায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ
Published: 19th, January 2025 GMT
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের লোহাগড়া শাখায় গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টায় মাসব্যাপী বিশেষ গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষে এ সমাবেশ হয়। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা জোনাল হেড আহমেদ আশীক রাজী।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে সরকারের কিছু নিয়ম-নীতির কারণে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসিকে সাময়িকভাবে কিছুটা অসুবিধার পড়তে হয়েছিল। অনেক গ্রাহক বিভিন্ন ধরনের কথা শুনে ব্যাংকে জমা করা টাকা উঠানোর জন্য ভিড় করেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকটি এখন আর সে অবস্থায় নেই। সব সমস্যা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
তিনি গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ব্যাংকটিতে লেনদেন করার জন্য আহ্বান জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জোনাল অফিসের দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, আঞ্চলিক কার্যালয়ের এভিপি মনির হোসেন, নড়াইল শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল আলম কিবরিয়া, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম হায়াতুজ্জামান।
ব্যাংকের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এমকে মিতালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সাহা, সাংবাদিক রেজাউল করিম, ব্যবসায়ী বুদ্ধ মজুমদার, বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কদর প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’