প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন কামাল
Published: 19th, January 2025 GMT
কখনও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, কখনও সাংবাদিক আবার কখনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করছিলেন কামাল খান ওরফে শাহ কামাল নামের এক ব্যক্তি। অবশেষে পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, কামাল একজন পেশাদার প্রতারক। শনিবার তাকে ডেমরা থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ডেমরা থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার কামাল পুলিশ কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে নানা পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করতেন। গত বৃহস্পতিবার ডেমরার রাণীমহল এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহকে কামাল ফোন করে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন সেল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেন। শনিবার তাকে কৌশলে ডেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক জি এম মুসা কালিমুল্লাহ বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা: নেতাকর্মীকে তারেক রহমান
জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।
তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।
কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।