শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায়ে দু’জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
Published: 19th, January 2025 GMT
নাটোরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে কাজেম আলী ও আতিকুর রহমান নামের দু’জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা শিশুটির বাবাকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ড পাওয়া দুই আসামি মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা দু’জনই শিশুটির প্রতিবেশী। আদালতের বিশেষ পিপি আবদুল কাদের মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল কাদের মিয়া জানান, ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক শিশু বাড়ির পাশে ভেড়া চড়াতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী আতিকুর ও কাজেম তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালায়। বিষয়টি প্রতিবেশী এক নারী দেখে ফেলেন।
ঘটনার পর শিশুটি বাড়ি ফিরে লজ্জায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন কাজেম আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সে ও আতিকুর জড়িত থাকার কথা পুলিশকে জানায়। পরে শিশুটির বাবা সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার প্রায় ২০ বছর পর আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রোববার রায় ঘোষণা করলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।