শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৭ সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক কর্মকর্তা জানান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় দুদক। রবিবার সকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পায়। সখিপুরে ডাক বাংলো নির্মাণ না করে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া, নামেমাত্র গাছ লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

শামীম হোসেন, অন্যান্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

নওফেল ও তার পরিবারের ২৫ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

বিএমডিএ’র ২ দপ্তরে দুদকের অভিযান, নথিপত্র তলব

এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে তারা বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন।
 

ঢাকা/আকাশ/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ