বাজারে ছিলেন নোমান, দু’জন এসেই বুকে চালিয়ে দেয় ছুরি
Published: 19th, January 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নোমান আহমদ নামের এক যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আবদুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নোমান পেশায় একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।
নোমানের পরিবার জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান। তাৎক্ষণিক নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুস শহীদ জানান, নোমানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই যুবকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তারা হলেন সুজানগরের সবির মারজান ও কালাইউরার রেহান। সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ জানান, যুবদল নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম রোববার দুপুরে জানান, টাকা লেনদেন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চলে আসা ইর্ন্টান চিকিৎসকদের সপ্তাহব্যাপী চলমান র্কমবরিতি র্কমসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লাস বর্জন র্কমসূচওি প্রত্যাহার করে নয়িছেনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুরে ‘চমেক শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকবৃন্দ’ ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবশে অনুষ্ঠতি হয়। এতে ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবির প্রতি সর্মথন জানিয়ে বক্তব্য দেন চমেক অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন এবং উপাধ্যক্ষ আবদুর রব। এসময় তারা আদালতের রায় আসা পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। রায়ের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তারা। এরপর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ইর্ন্টান চিকিৎসকরা।
অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন বলেন, সরকারিভাবে দাবির বিষয়গুলো মীমাংসার চেষ্টা চলছে। ১২ মার্চ আদালতের একটি রায় আসার কথা রয়েছে। তাই আমি সবার প্রতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার উচিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা।
তসলিম উদ্দীন বলেন, বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। এই দাবির পক্ষে রয়েছে অনেকেই। পাশাপাশি পাঁচদফা দাবিগুলোও আমরা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি শিগগির এ ব্যাপারে ইতিবাচক নির্দেশনা আসবে।
এই দুই দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন ইতিবাচক বক্তব্যের পরপরই র্কমবরিতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন ইর্ন্টান ডা. আহমদ হাসনাইন। পাশাপাশি ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহাররে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন।
ডা. আহমদ হাসনাইন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা র্কমসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছিলেন চমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।