রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 19th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ বাড়ি করে হামলা ভাঙচুর হল লুটপাটের মামলায় যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে উপজেলার খাদুন এলাকার ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মিলন প্রধান, সুরুজ মিয়া, রাসেল ভুইয়া৷ দেলোয়ার ভুইযা, শফিক ভান্ডারি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৫ শে ডিসেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া ও যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন জমি সংক্রান্ত বিরোধের ধরে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন প্রধান বাড়িতে হামলা ভাঙচুর হল লুটপাট চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি লক্ষ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। পরে এলাকাবাসী রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন৷ পরে পুলিশ রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন মোটা অংকের টাকার বিনিময় ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় মিলন প্রধান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন ও তার ছোট ভাই মহসিন কবির ভূঁইয়া সবুজ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, ইবির আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ইবির কর্মকর্তার, বহিষ্কার দাবি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (সা.) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রকম এক মহামানবকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন বা কোন নাটক মঞ্চস্থের মধ্যে দিয়ে বিচারকে বিলম্বিত করা যাবে না। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই মোজাম্মেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে।
মোজাম্মেল হককে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগের নিকট তার বহিষ্কারের দাবি জানালে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিভাগটি।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী