হবিগঞ্জ শহরের নতুন স্টেডিয়ামের পাশের একটি জমি থেকে মঞ্জব আলী (৫৩) নামে এক মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি আলমগীর কবির।

মারা যাওয়া মঞ্জব আলী সদর উপজেলার লুকড়া মধ্য গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে। 

আরো পড়ুন:

পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স থেকে নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের মরদেহ উত্তোলন

ওসি আলমগীর কবির বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নতুন স্টেডিয়ামের পাশের একটি জমি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরিচয় জানতে পেরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। মঞ্জব আলীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”

পরিবারের বরাতে তিনি আরো বলেন, “মারা যাওয়া ব্যক্তি গত ১০-১২ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। অধিকাংশ সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। তার পরিবার ও স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিতে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছেন।”

ঢাকা/আজহারুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!

বাড়িটি ঘিরে রেখেছে মৌমাছির ছোট বড় অনেকগুলো মৌচাক। বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে ২৩টি মৌমাছির বড়বড় চাক। এসব মৌমাছি বছরের আটমাস ধরে থাকে বাড়িটিতে। বাড়িটি এখন এলাকায় মৌমাছি বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

কেউ মৌমাছি দেখতে, আবার কেউবা ছবি তুলতে যান বাড়িটিতে। পরিবারের সদস্যদের মতোই মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে মৌমাছি। প্রাকৃতিকভাবে বনের মৌমাছি আর পরিবারটির সদস্যদের মাঝে এই ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে ছয় বছর আগে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া খানপুর গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন নিজ বাড়িতে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন মৌমাছির ২৩টি দলকে। পরিবারটির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে কয়েক লাখ মৌমাছি। 

আলমগীর হোসেন বলেন, “ছয় বছর আগে হঠাৎ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে সাত-আটটি চাক তৈরি করে মৌমাছির দল। এরপর থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে চলে আসে এবং চাক তৈরি করে।” 

তিনি আরও বলেন, “দোতলা বাড়ির বারান্দা, দেওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে চাক তৈরি করে মৌমাছিরা। বছরান্তে চাকের সংখ্যা বাড়ছে। এবার ২৩টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। আমাদের পরিবারেরই অংশ তারা। মৌমাছির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা মিশে গেছে। আমার বাবা বেশিরভাগ সময় তাদের দেখাশোনা করে। তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা দেখে, আমিও দেখি। মৌমাছিরাও কাউকে হুল ফোটায় না।”

তিনি বলেন, “প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসে মৌমাছি গুলো। এভাবে চলছে গত ছয় বছর ধরে। আট মাসে দুইবার মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মধু বিক্রি হয়।”

আলমগীরের ফুফু আছিয়া খাতুন বলেন, “প্রথম দিকে ভয় পেলেও এখন আর ভয় লাগে না। কেননা মৌমাছি আমাদের কাউকে আক্রমণ করে না।” 

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, “এটি মেইলিসিরা প্রজাতির মৌমাছি। এই মৌমাছি প্রকৃতি ও পরিবেশ বোঝে। যেখানে নিরাপত্তা, বাঁচার পরিবেশ ও খাবারের ভালো সুব্যবস্থা থাকে সেখানেই মূলত তারা বাসাবাঁধে। এগুলো সুন্দরবনের মৌমাছি। এক বছর যেখানে বাসা বাঁধে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর চলে যাওয়ার সময় সেখানে কিছু আলামত রেখে যায়। পরের বছর সেখানেই ফিরে আসে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!