জামালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-মেয়ে আহত
Published: 19th, January 2025 GMT
জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক আইনজীবী ও তার মা গুরুত্বর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সুরুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- সুরুলিয়া গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে অ্যাডভোকেট নাসরিন সুলতানা শিখা (৩২) ও তার মা নাজমা বেগম (৫৫)। তারা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ
অটোরিকশা চালকদের মারধরে ৩ পুলিশ আহত
আহত আইনজীবী নাসরিন সুলতানা শিখা বলেন, “আমার চাচা ওয়াজকুরুনির সঙ্গে বাড়ির জমি ও গাছ কাটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে আজ দুপুর ১২টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ক্ষেতের জমি দখল করতে যান চাচা ওয়াজকুরুনি, রফিকুল ইসলাম গদাই ও মাইনুদ্দিনসহ ২০ থেকে ২৫ জন। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং মা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান।”
আহত নাজমা বেগম বলেন, “আমাদের ওপর চালানো হামলার বিচার চাই। আমাদের অসহায় পেয়ে এভাবে মারধর করেছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াজকুরুনি মোবাইল ফোনে বলেন, “৫২ শতাংশ জমি নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝামেলা। এসব নিয়ে আমাদের ওপর আজকে প্রথমে হামলা করে তারা। পরে আমাদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়।”
মেলান্দহ থানার ওসি মো.
ঢাকা/শোভন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মাদকসেবনের টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে (৬৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সুমনকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের কাজীমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। ২০১৮ সালের ৩ জুন বিকেলে মাদকসেবনের জন্য টাকা চান তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের মেয়ে হালিমা বেগম পাখি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১১ জুন পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তাৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় করেন।’
আসামিপক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্ড আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।