রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাদ্য বিভাগে বস্তা সরবরাহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক ঠিকাদার। প্রতিটি বস্তা গ্রহণের জন্য তার কাছে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পক্ষ থেকে বস্তপ্রতি ৪ টাকা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জন্য ১ টাকা করে ঘুষ দাবি করা হয়েছে। দুই কর্মকর্তার জন্য এই ঘুষের দফারফা করছিলেন খাদ্য বিভাগেরই এক পরিদর্শক। বিষয়টি খাদ্য অধিদপ্তরে জানাজানি হলে তাকে তাৎক্ষণিক সিলেটে বদলি করা হয়েছে। 

এদিকে, ঘুষ চাওয়ার ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঢাকার মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের স্বত্ত্বাধিকারী হারুন-অর-রশিদ গত ৮ জানুয়ারি এই অভিযোগ করেন। হারুন জানান, বস্তাপ্রতি তিনি সর্বোচ্চ ২ টাকা দিতে রাজি ছিলেন। মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তা ৫ টাকার নিচে নামেননি। ফলে তার বস্তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

হারুন মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তা হিসেবে খাদ্য বিভাগেরই পরিদর্শক আবদুর রহিমের নাম উল্লেখ করেছেন। এই আবদুর রহিম দীর্ঘসময় রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বহু অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও পাবনায় তিনি বিপুল সম্পদ গড়েছেন। একাধিকবার তিনি বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। এবার ঘুষ চাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে তাকে সিলেটে বদলি করা হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জেই থাকতে তিনি গিয়েছেন হাইকোর্টে।

দুই কর্মকর্তার জন্য ঘুষের দেনদরবার করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, ‘‘আমি তদন্ত কমিটির সামনে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অভিযোগের কারণে সিলেটে বদলির বিষয়টিও সঠিক না।’’

খাদ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, আমন ২০২৪-২৫ সংগ্রহ সফল করার লক্ষ্যে মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের সঙ্গে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার ৬ লাখ পিস বস্তা সংগ্রহের চুক্তি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৪ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করেছে। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামের ২ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করতে পারেনি ঘুষ চাওয়ার কারণে।

মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে আড়াই লাখ, রহনপুর খাদ্যগুদামে এক লাখ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে দুই লাখ খালি বস্তা সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে রহনপুরে এক লাখ বস্তা সরবরাহ করে। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে এক ট্রাক বস্তা পাঠানোর পর অনৈতিক আবদারের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

লিখিত অভিযোগে হারুন অ্যান্ড সন্স জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামের ওসি শাকিলা নাসরিন নভেম্বরের শেষ দিকে তাকে ফোন করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে তার গুদামে বস্তা সরবরাহ করতে বলেন। তার কথায় তিনি এক ট্রাক বস্তা পাঠান গত ১ ডিসেম্বর। ট্রাকে ৩১ হাজার পিস বস্তা ছিল। বস্তা যাওয়ার পর ওসি শাকিলা নাসরিন সেগুলো গ্রহণে গড়িমশি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পরিদর্শক আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ঠিকাদার হারুন-অর-রশিদকে। হারুন ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন রহিম তাকে বলেন, বস্তাপ্রতি ওসিকে ৪ টাকা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ১ টাকা করে দিতে হবে। তাহলে তার বস্তা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনার পর পরিদর্শক রহিমকে বদলি করা হলেও ওসি শাকিলা নাসরিন আছেন বহাল তবিয়তে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শনিবার (১৯ জানুয়ারি) শাকিলা নাসরিনকে তিনবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে তার ফোন নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। এরপরও তার সাড়া মেলেনি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমার নাম করে আবদুর রহিম ঘুষ দাবি করেছেন কি-না, এটি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে।’’

ঠিকাদার হারুন অর-রশিদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে তাকে ২ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করতে হবে। এই বস্তার জন্য তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হয়রানি এড়াতে তিনি বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিদর্শক রহিম রাজি হননি। এ অবস্থায় তিনি বস্তাভর্তি ট্রাক ফেরত পাঠাতে বলেন কিন্তু ওসি শাকিলা সেটিও করছিলেন না। ৩ দিন তার ট্রাক আটকে রাখা হয়। ফলে তাকে অতিরিক্ত ৭২ হাজার টাকা ট্রাকভাড়া দিতে হয়। ৩ দিন পর বস্তাভর্তি ট্রাক ফেরত পাঠানো হয় গুদাম থেকে।

হারুন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গুদামে ঘুষের জন্য বস্তা দিতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, হার্টের মাইনর অ্যাটাক হয়েছে। মানসিক চাপে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন জানিয়ে এই ঠিকাদার অভিযোগের সঙ্গে তার চিকিৎসার সমস্ত কাগজপত্রও দাখিল করেছেন।

হারুন জানান, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে তিনি বস্তা না নেওয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর খাদ্য বিভাগ বিষয়টির তদন্ত করছে। ওসি শাকিলা নাসরিন তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করছেন, সরবরাহ করা বস্তা ছিল ওজনে কম। হারুন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বস্তায় ত্রুটি থাকলে তিন দিন কেন আটকে রাখলেন? ৩ দিন বস্তা আটকে রেখে রোদে শুকানো হয়েছে। এরপর বলা হচ্ছে যে বস্তা ছিল ওজনে কম।’’ হারুন বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি ৩ দিন ট্রাক আটকে রাখার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজও চেয়েছিল। ওসি দাবি করেন, সিসি ক্যামেরা নেই। কিন্তু এখনও গুদামে ক্যামেরা আছে।’’

ঠিকাদার হারুনের অভিযোগ তদন্ত করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সেলিমুল আজম। তিনি জানান, ঠিকাদার হারুনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী দু’-একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা এখনই জানাতে চাননি তিনি।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ করত ক আবদ র র তদন ত ক কর ছ ন র জন য ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনিরা হামাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন?

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সড়কে কয়েক শ ফিলিস্তিনি নেমে এসে ইসরায়েলি বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা অবরুদ্ধ গাজা থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রণ অবসানের দাবি জানান। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৃহত্তম একটা প্রতিবাদ, যেখানে ৫০০ জন বিক্ষোভকারী অংশ নেন।

কিছুসংখ্যক মানুষ হামাস ও ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা বেইত লাহিয়ার মানুষেরা শান্তির পক্ষে। আমরা শান্তি ভালোবাসি এবং আমরা চাই এই যুদ্ধের অবসান হোক।’

ইসরায়েলি, ইসরায়েলপন্থী মিডিয়া এবং ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা ফিলিস্তিনিদের এই প্রতিবাদকে ব্যবহার করে। এটিকে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনকে, বিশেষ করে হামাসকে, আক্রমণ করার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।  

এমনকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ এই বিক্ষোভে উল্লাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে বর্ণবাদী রাষ্ট্র হামাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টায় তাদেরকে বাজি ধরছে।

পাঁচ মাস আগে ইসরায়েলে একজন সাংবাদিক বলেছিলেন, ইসরায়েলি লোকেরা তাঁদের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ নিয়ে বিরক্ত এবং সে কারণে তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন এবং যুদ্ধ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন। এরপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, ‘গাজার লোকেরা কবে হামাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন?’ তিনি আমাকে বলেছিলেন, ইসরায়েলি নেতারা সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।

প্রকৃতপক্ষে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা চলছে। ইসরায়েলি নেতারা ও তাঁদের মিত্ররা অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরায়েলি সেনারা যেসব যুদ্ধাপরাধ করে চলেছেন, তার জন্য হামাস এবং ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনকে দায়ী করে চলেছেন। গাজাকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার তাঁদের পূর্বপরিকল্পনায় ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তাঁরা এটা সাজিয়েছেন।

ফিলিস্তিনিরা যদি তাঁদের অস্ত্র ত্যাগ করেন এবং বৈধ প্রতিরোধ বন্ধ করেন, তাহলে সেটা হবে না। প্রতিরোধ আমাদের মর্যাদা, প্রতিরোধ আমাদের সম্মান। আমাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের একমাত্র রাস্তা প্রতিরোধ।

একজন ফিলিস্তিনি, আরেকজন ফিলিস্তিনি—ইসরায়েল কখনো এভাবে ভাগ করে না। তারা সব ফিলিস্তিনিকে শত্রু বলে মনে করে এবং সবাইকে নির্মূল করা উচিত বলে মনে করে। কারণ হলো, তাঁদের জোর করে নিজেদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করার পরও, তাঁদের জমি চুরি করার পরও এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর পরও তাঁরা প্রতিরোধ ছেড়ে দেননি।

একটা বড় অংশের লোকেদের স্মৃতিশক্তি খুবই স্বল্পমেয়াদি। তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধ ইসরায়েলি নৃশংসতাগুলো এবং ইসরায়েলি নেতাদের অপমানজনক মন্তবগুলো এবং মিথ্যা দাবিগুলো মনে রাখতে অক্ষম। অতএব তাঁরা সেই ইসরায়েলি নেতাকে জানতে আগ্রহী না–ও হতে পারেন, যিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সেরা বন্ধু হলো সেই ফিলিস্তিনি, যিনি মারা গেছেন।’

গণহত্যা শুরুর পর একটি টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদি বাইবেল থেকে ধার নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ‘আমালেক’ বলেছিলেন। এটি ইঙ্গিত করে যে সেখানে একটি আদেশ ছিল, যা নির্ধারণ করে যে ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই ইহুদিদের দ্বারা ধ্বংস করতে হবে।

নেতানিয়াহুর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ফিলিস্তিনিদের ‘নরপশু’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এর মাধ্যমে গাজায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার যৌক্তিকতা দিতে চেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, একটি দখলকৃত জায়গায় এ সবকিছুর সরবরাহ অবশ্যই জনগণকে বিনা মূল্যে দিতে হবে।

এরপর নেসেটের (ইসরায়েলের আইনসভা) উপ–স্পিকার নিসিম ভাতুরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ইসরায়েলের একটি সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে, ‘গাজাকে দুনিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।’ গাজার এতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী আমিচায় ইলিয়াহু গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গাজায় একজনও বেসামরিক নাগরিক নেই।

গাজার বাসিন্দাদের জোর করে উচ্ছেদ করে দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শোহলো কারহি ফিলিস্তিনিদের দ্রুত বের করে দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিলে ফিলিস্তিনিরা মিসরে যেতে বাধ্য হবেন।

ইসরায়েলি নেতাদের কাছে ফিলিস্তিনি মানেই শত্রু। তাঁরা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করছেন। কোনো প্রতিরোধযোদ্ধা নেই, সেটা জানার পরও তাঁরা সেই সব এলাকাকে টার্গেট করছেন।

বিক্ষোভকারীরা শান্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা হয়তো ভুলে গেছেন যে ১৯৯৩ সাল থেকে আমাদের শান্তিতে বাস করা উচিত ছিল। কেননা, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ফাতাহকে নিরস্ত্রীকরণের মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সালে পিএলও ওসলো শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। আমাদের তাতে কী হয়েছে? তারা আমাদের খুন করা অব্যাহত রেখেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রমাণ করতে হবে না যে তারা শান্তিপূর্ণ লোক। সেটা প্রমাণ করতে হবে ইসরায়েলিদের। যা–ই হোক, বিশ্বের ভণ্ড পরাশক্তি ও আরব নেতারা যতক্ষণ ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা হবে না।

ফিলিস্তিনিরা যদি তাঁদের অস্ত্র ত্যাগ করেন এবং বৈধ প্রতিরোধ বন্ধ করেন, তাহলে সেটা হবে না। প্রতিরোধ আমাদের মর্যাদা, প্রতিরোধ আমাদের সম্মান। আমাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের একমাত্র রাস্তা প্রতিরোধ।

মোতাসেম আ দল্লউল গাজার মিডল ইস্ট মনিটরের সংবাদদাতা
মিডল ইস্ট মনিটর থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিহত বেড়ে ৩০০৩, ত্রাণ সরবরাহে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা জান্তার  
  • ত্রাণবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে মিয়ামারের সেনারা
  • আজ যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে
  • ক্রেতা ৭০ টাকায় লেবু খাবেন না, এর কমে বেচলে বিক্রেতার লাভ হবে না
  • ফিলিস্তিনিরা হামাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন?
  • বিশ্ববাজারে সোনার দামের নতুন রেকর্ড
  • এপ্রিলেও একই থাকছে জ্বালানি তেলের দাম
  • রামুতে গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত, অস্ত্র উদ্ধার
  • জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত
  • মজুতদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দরকার