বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনাবাহিনী-পুলিশের অভিযান, মা-ছেলে গ্রেপ্তার
Published: 19th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী মেম্বরের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে টাকা ও ইয়াবা জব্দসহ লিয়াকত আলীর স্ত্রী-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীচর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীর বাড়িতে অভিযান চালান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দৌলতপুর থানা-পুলিশ তাদের সঙ্গে ছিল। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে বাড়ি থেকে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও ১ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় লিয়াকতের স্ত্রী কাজলী খাতুন ও ছেলে আবরাহাম লিংকনকে আটক করা হয়। আজ রোববার দৌলতপুর থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে লিয়াতক আলী পলাতক।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আটক দ লতপ র ল য় কত
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’