পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গায় ডুবল বাংলাদেশি জাহাজ
Published: 19th, January 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়ায় গঙ্গায় ডুবে গেছে ছাইবোঝাই একটি বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ। স্থানীয় ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম এডি বছিরউদ্দিন কাজি।
সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ত্রিবেণীর ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস) থেকে ছাই সংগ্রহ করে দেশে ফিরছিল জাহাজটি। ফেরার পথেই গঙ্গায় দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে জাহাজটিকে গঙ্গা থেকে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
জাহাজের কর্মীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ জাহাজের তলায় বড় শব্দ হয়। এরপরেই জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। একদিকে কাত হয়ে পড়ে জাহাজটি। ক্রমে চালকের কেবিনটুকু বাদ দিয়ে গোটা জাহাজটিই ডুবে যায়। বিপদ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাহাজের কর্মীরা। শুরু হয় জাহাজটি পানি থেকে তোলার প্রক্রিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাটার সময় পানি কমে যাওয়ায় জাহাজটির কিছু অংশ আবার ভেসে উঠেছে। প্রতিদিন একটু একটু করে ওই জাহাজ থেকে ছাই খালি করে জাহাজের ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। এজন্য সন্দেশখালি থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, জাহাজের সব ছাই খালি করতে এখনও অন্তত সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে। এরপর মেরামত শেষে জাহাজ বাংলাদেশে ফেরত যাবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার দিবাস্বপ্ন সত্য হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।