পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়ায় গঙ্গায় ডুবে গেছে ছাইবোঝাই একটি বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ। স্থানীয় ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম এডি বছিরউদ্দিন কাজি।

সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ত্রিবেণীর ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস) থেকে ছাই সংগ্রহ করে দেশে ফিরছিল জাহাজটি। ফেরার পথেই গঙ্গায় দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে জাহাজটিকে গঙ্গা থেকে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। 

জাহাজের কর্মীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ জাহাজের তলায় বড় শব্দ হয়। এরপরেই জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। একদিকে কাত হয়ে পড়ে জাহাজটি। ক্রমে চালকের কেবিনটুকু বাদ দিয়ে গোটা জাহাজটিই ডুবে যায়। বিপদ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাহাজের কর্মীরা। শুরু হয় জাহাজটি পানি থেকে তোলার প্রক্রিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাটার সময় পানি কমে যাওয়ায় জাহাজটির কিছু অংশ আবার ভেসে উঠেছে। প্রতিদিন একটু একটু করে ওই জাহাজ থেকে ছাই খালি করে জাহাজের ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। এজন্য সন্দেশখালি থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছে।

শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, জাহাজের সব ছাই খালি করতে এখনও অন্তত সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে। এরপর মেরামত শেষে জাহাজ বাংলাদেশে ফেরত যাবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাম পাড়া এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে (৩২) আটক করে এলাকাবাসীর কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, ১৬ বছর বয়সী খেয়াং কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন বিকেলে পাড়ার আশপাশে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে।  প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বিকেলে রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়। কিন্তু সেদিন কিছুটা রাত হলেও আর বাড়িতে ফেরেনি।  

এলাকাবাসী আরও জানায়, ওই এলাকায় রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা সংযোগ সড়কে নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নিয়োজিত আছে ১৮-২০ জন শ্রমিক। সন্ধ্যার দিকে পাড়ার পাশে কবরস্থানের কাছাকাছি কিশোরীকে একা পেয়ে শ্রমিক মো. জামাল হোসেন ওই কিশোরীকে টেনে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পরে রাত নামলে কিশোরীর চিৎকার শুনে পাড়াবাসী জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিশোরীর কথায় পাড়াবাসী নিশ্চিত হয় এক নির্মাণ শ্রমিক তাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর রাতভর বেশ কয়েকজন মিলে জঙ্গলের ভেতরে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।

সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন শ্রমিক বলেন, পাড়ার একটি মেয়েকে আমাদের একজন শ্রমিক ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু এ কাজ কে করেছে তা জানতাম না। পরে রাতে দেখি মো. জামাল হোসেন নামে এক শ্রমিক আমাদের সঙ্গে ঘুমাতে আসেনি।  ভোরের দিকে কাজের জায়গায় অভিযুক্ত জামাল পৌঁছালে শ্রমিকরা সবাই মিলে তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেয়।

খামতাম পাড়ার কয়েকজন জানান, জামালকে পাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে মারধর করে। এরপর গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুরো পাড়া তাকে ঘুরানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত জামালকে তাদের কাছে সোপর্দ করে।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামালকে পাড়াবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে রোয়াংছড়ি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন ‘তারা ভালো আছেন’
  • রাজধানী থেকে নিখোঁজ মা-ছেলে 
  • শুবমান গিল ফেব্রুয়ারির সেরা খেলোয়াড়, নারীদের সেরা কিং
  • প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ
  • দই-চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
  • কাঠগড়ায় ইনুর হাতে হাতকড়া, হট্টগোল 
  • বাংলাদেশের কোন নায়িকার পারিশ্রমিক কত
  • গোবিন্দকে কেন গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান?
  • হারিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর যেভাবে ছেলেকে ফিরে পেলেন মা
  • বান্দরবানে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১