ই-পাসপোর্ট বুকলেটের ডিজাইন পরিবর্তন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রোববার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে থাকা বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার, নৌকা, জলছাপসহ অন্যান্য ছবির পরিবর্তন করে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ছবি অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কাজ করছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্লুইসগেট মেরামত না হওয়ায় হুমকিতে ৩ উপজেলার বোরো ধান

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ৮ মাসেও মেরামত হয়নি। ফলে বিঘার পর বিঘা জমির বোরো ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। 

কৃষকদের দাবি, স্লুইসগেটের ভাঙা অংশটি দ্রুত মেরামত করা না হলে, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে কুশিয়ারা নদীতে পানি আসলে ডুবে যেতে পারে তিন উপজেলার বোরো ধান। উপজেলাগুলো হলো- আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ।

গত বছরের ৪ জুন আজমিরীগঞ্জ-বদলপুর সড়কের কুশিয়ারা তীরবর্তী কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। সময়ের সাথে সাথে ভাঙনটি আরও বড় আকার ধারণ করে। দীর্ঘ আট মাসেও এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এদিকে, হাওড়জুড়ে শেষ হয়েছে বোরো আবাদ। আর মাস দেড়েক পরই ফসল ঘরে তোলার সময়। কিন্তু কৈয়ার ঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়কের বাঁধটি এখনও মেরামত না করায় তিন উপজেলার কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা, চৈত্রে আগাম বৃষ্টিপাত হলে কুশিয়ারা নদীর পানি হাওড়ে ঢুকে পড়বে। এতে তলিয়ে যাবে বিস্তীর্ণ ফসলিজমি।

স্থানীয় সিরাজ মিয়া বলেন- “অনেক ভয়, আতঙ্কে আছি। বৈশাখ মাস চলে আসছে, এটা ভেঙে অনেক ক্ষতি হতে পারে। এখন এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই বাঁধ না বাঁধলে আর বাঁধা সম্ভব না।”

এই সংযোগ সড়কটির দায়িত্বে রয়েছে জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী।

হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, “চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঠিকাদারকে জরুরিভিত্তিতে মেরামত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এটা নির্মাণ করা সম্ভব হবে।”

এর আগে ২০২২ সালে কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটে ভাঙন দেখা দেয়। পরে ত্রুটিযুক্ত মেরামতের কারণে আবারও তা ভেঙে যায়। তবে এবার যেন শক্তিশালী বাঁধ তৈরি করা হয় এমনটাই দাবি কৃষকদের।

ঢাকা/মামুন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ