ফরচুন বরিশালের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং কিংসের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। মনে হচ্ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছড়াবে ম্যাচে। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর প্রথম ইনিংসের স্কোরবোর্ডের যে চিত্র তাতে লড়াইয়ের আমেজ কমে গেছে অনেকটাই। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে চিটাগং কিংস করতে পারে মাত্র ১২১ রান। দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্য একেবারে নাগালে রেখেছে বরিশাল। মুখোমুখি লড়াইয়ে কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে চিটাগং ১৫ রান পায়। স্বদেশি পেসার জাহানদাদের ওভার থেকে দুই চার ও এক ছক্কা আদায় করে নেন উসমান খান। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ওভারেও স্পিনার তানভীরকে দুই চার হাঁকান। এমন উড়ন্ত শুরুতে চিটাগংয়ের দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু কে জানত তৃতীয় ওভার থেকে তাদের ইনিংসে নেমে আসবে বিপর্যয়?

তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে উসমান নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন রিপন মন্ডলকে। পরের ১৯ বলেই স্রেফ এলোমেলো চিটাগং। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন গ্রাহাম ক্লার্ক, পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শেষ ৩ উইকেট পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ। রিপন ও আশরাফের ২০ বলের দাপটে পাওয়ার প্লে’তে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগং।

আরো পড়ুন:

প্রথমবার বিপিএলের ট্রফি রাজশাহীতে

‘ঘরের ছেলে বনাম ঘরের দলের’ লড়াইয়ে ফিরল বিপিএল

সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সপ্তম উইকেটে আরাফাত সানীকে নিয়ে ৩৭ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মনে হচ্ছিল তাদের জুটিতে চিটাগংয়ের পুঁজি বাড়বে। কিন্তু ধারাবাহিক রান না আসায় বড় শট খেলতে গিয়ে ভাঙে এই জুটি। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে মিঠুন সাজঘরে ফেরেন তানভীরের বলে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি চিটাগং। চাপ বাড়ায় বড় শট খেলার বিকল্প ছিল না। কিন্তু টাইমিং না মেলায় গড়বড় হয়।

চিটাগংয়ের শেষ ভরসা ছিলেন আরাফাত সানী। তার ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়। ৩৪ বলে ২৭ রান করা সানী হাঁকান ২ বাউন্ডারি। এছাড়া খালেদ ৯ ও শরিফুল ৫ রান তুলে রাখেন অবদান।

৩টি করে উইকেট নিয়ে রিপন ও ফাহিম ছিলেন বরিশালের সেরা। ২টি উইকেট নেন স্পিনার তানভীর।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ