‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে’
Published: 19th, January 2025 GMT
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জি খোজিন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবার (১৯ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, অতীতেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে ছিলো। সহযোগিতার এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, “দ্রুতই এর সমাধান হবে। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া।” এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভাবনা ১৯৬১ সালে শুরু হলেও ২০০৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সক্রিয়ভাবে আলোচনায় আসে।
২০১৩ সালের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুই দেশের সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, রুশ সহযোগিতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে।
ওই বছরের অক্টোবরেই পাবনার ঈশ্বরদীতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লি ও পানি শীতলকারী ডোমের কনক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।