পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৪০০ শতাধিক আসামির জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন।

আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন মোহাম্মদ পারভেজ হাসান, আমিনুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো.

বোরহান উদ্দিনের জামিনের বিরোধীতা করেন।

 আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় যারা খালাস পেয়েছেন এবং যাদের ১০ বছরের সাজা হয়েছে তাদের জামিন আবেদন করেছি। যাদের ১০ বছরের সাজা তারা ১৭ বছর যাবৎ জেলে আছে। তাদের ওই মামলায় সাজা শেষ হয়েছে। এ মামলায় তারই ট্রায়াল ফেস করবে। আমরা এসব বিষয় উল্লেখ করে জামিন আবেদন করি। আদালত বিকেল ৩টায় জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন।”

এরআগে এদিন সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ সাক্ষী দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ২৮৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।

অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেধে দিয়েছে সরকার।

ঢাকা/মামুন/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ষ হয় ঘটন য় র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএলে ঢাকার শেষ ম্যাচ দেখতে মাঠে থাকবেন শাকিব

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের মালিকানাধীন দল ঢাকা ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দল নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। এবার ঢাকার শেষ ম্যাচেও মাঠে উপস্থিত থাকবেন এই জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসের শেষ ম্যাচটি দেখতে আসবেন শাকিব। দলটির প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। দুপুরের পরই গ্যালারিতে উপস্থিত হয়ে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবেন তিনি।

এর আগে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচে মাঠে হাজির ছিলেন শাকিব খান। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এবারই প্রথম বিপিএলে সরাসরি যুক্ত হলাম। অনেক কিছু শিখলাম, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

এদিকে, আসন্ন ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘বরবাদ’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বিপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখতে পারেননি শাকিব খান। মুম্বাইয়ে শুটিং শেষ করে বুধবার বিকেলে ঢাকায় ফেরেন তিনি। এবার ঢাকার শেষ ম্যাচে গ্যালারিতে বসে দলকে সমর্থন দিতে হাজির হবেন এই নায়ক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ