একদিনের বিরতির পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলা আবার শুরু হলো আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫)। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস।

দুই দলের এবারের বিপিএলে এটাই মুখোমুখি প্রথম লড়াই। ফরচুন বরিশাল টস জিতে চিটাগং কিংসকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে। দুপুর দেড়টায় মাঠে নেমেছে দুই দল।

চিটাগং কিংস স্বাগতিক হিসেবে এই ম্যাচে অংশ নিচ্ছে। তবে বিপক্ষ দলে ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল থাকায় লড়াইটা জমে উঠেছে বেশ। গ্যালারিতে চিটাগংয়ের জার্সির সমারোহ। আবার তামিমের জন্যও গলা ফাঁটাতে এসেছেন সমর্থকরা। ফলে বরিশাল ও চিটাগংয়ের লড়াইয়ে আলাদা উন্মাদনা ছড়াচ্ছে।

আরো পড়ুন:

‘দুই ট্রফি’ নিয়ে রংপুর মাতাতে আসছে রাইডার্স শিবির

রিশাদকে বিগ ব্যাশ-পিএসএল খেলার সুযোগ দিতে বললেন মালান

পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে ও তিনে দুই দলের অবস্থান। বরিশাল ছয় ম্যাচে চারটিতে জিতে রয়েছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে সমান জয় নিয়ে চিটাগং তিন নম্বরে। রান রেট কেবল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুই দলের। বরিশালের রান রেট ১.

০৬৭।  চিটাগংয়ের ০.৯৮০।

এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। মায়ের মৃত্যুর কারণে শেষ ম্যাচে ছিলেন না তিনি। বরিশাল এই ম্যাচে একটি পরিবর্তন এনেছে। নাজমুল হোসেন শান্তকে দলে নেওয়া হয়নি। তার জায়গায় এসেছেন রিশাদ হোসেন।  

ফরচুন বরিশাল:
তামিম ইকবাল, রিশাদ হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, ডেভিড মালান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিপন মণ্ডল, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নবী, তানভীর ইসলাম ও জাহানদাদ খান।

চিটাগং কিংস: 
মোহাম্মদ মিঠুন, পারভেজ হোসেন ইমন, উসমান খান, হায়দার আলী, শামীম হোসেন, গ্রাহাম ক্লার্ক, বিনুরা ফার্নান্দো, আরাফাত সানী, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আলিস আল ইসলাম।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল দ ই দল

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ