প্রস্তাবিত কোনো চুক্তি নিয়ে ব্যত্যয় ঘটবে না : চীনা রাষ্ট্রদূত
Published: 19th, January 2025 GMT
ঋণচুক্তি, তিস্তা প্রকল্প, বাণিজ্য বৈষম্য কমানোসহ বাংলাদেশ চীনের সাথে যেসব চুক্তির প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে, সেগুলোর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, “চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের অঙ্গীকার অপরিবর্তিত রয়েছে। চীন সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবে।”
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
চীনের সাথে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি, রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য চীন থেকে ঋণ সহায়তা, বাজেট সহায়তা, তিস্তা প্রকল্প প্রভৃতি নিয়ে চীনের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশটির মুখপাত্র বলেছিলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
অন্তবর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই চীন সফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের আগের মতোই সম্পর্ক থাকবে এবং ভবিষ্যতে সম্পর্কের কোন চির ধরবে না। বরং এ সম্পর্ক কারো গভীর হবে।
বাংলাদেশ সঙ্গে চীনের চুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পক্ষ থেকে যেসব চুক্তির প্রস্তাব সেগুলোর ব্যত্যয় ঘটবে না।”
এ সময় তিনি তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, “এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে চীন। এটা সমাধান করা হবে।”
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের ঘটনায় আহতদের চীনের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছিল সেটা অব্যাহত থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যদি কোন ধরনের চিকিৎসা ইনস্ট্রুমেন্ট লাগে তা চায়না সরকার সরবরাহ করবে এবং বাংলাদেশের মানুষকে সার্বিক সহযোগিতায় করবে।”
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নিয়ে ভারত যে বাঁধ তৈরি করছে চীন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।”
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রেল সেতুতে ধাক্কা, রূপসা নদীতে ডুবল লাইটারেজ জাহাজ
খুলনায় রূপসা রেল সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে রূপসা নদীতে ডুবে গেছে লাইটারের জাহাজ এমভি সেভেন সার্কেল-২৩। জাহাজটিতে ১ হাজার ১৭৫ টন সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ছিল বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহাজের সুকানি ইমাম হোসেন লিটু ও গ্রীজার অমিত কুমার শীল জানান, তারা মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে রূপসায় সেভেন রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় রূপসা রেল সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়।
জাহাজে থাকা ১৩ জন কর্মচারীকে জাহাজ কর্তৃপক্ষের ২টি ট্রলার এসে উদ্ধার করে তীরে উঠায়।
ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।