সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ ইউসুফ
Published: 19th, January 2025 GMT
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন সেই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে তিনি জবানবন্দি দিচ্ছেন।
এর আগে এদিন বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু। আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো.
এরআগে মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন, আসামিদের জামিন শুনানি হবে। এ জন্য সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হজির হন স্বজনরা। স্বজনদের যেন জামিন হয় এ জন্য তারা মোনাজাত করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।
অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেধে দিয়েছে সরকার।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ হলো ঢাবি শিক্ষকদের ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘ট্রেইনিং প্রোগ্রাম: ফাউন্ডেশন সার্টিফিকেট ইন ইউনিভার্সিটি ট্রেইনিং অ্যান্ড লার্নিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের ৪৯ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
আরো পড়ুন:
রাজধানীর লোকাল বাসে মারধরের শিকার ঢাবি শিক্ষক
ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত
আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।
অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান উন্নয়ন করা আমাদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী