টিপ পরে ঘোমটা দিয়ে জাবির ছাত্রী হলে বহিরাগত যুবক
Published: 19th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে বহিরাগত যুবককে আটক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। ওই হলের এক নারী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তিনি হলে প্রবেশ করেন বলে জানা যায়।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম আশরাফুল ইসলাম পারভেজ ওরফে যাযাবর পারভেজ। তিনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানার বাসিন্দা।
হল কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কপালে টিপ, মুখে ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এসময় তার পোশাক ও হাঁটা দেখে আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্দেহ হয়। পরে তারা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে গিয়ে অভিযুক্ত পারভেজকে দেখতে পান তারা। এরপর পারভেজকে আটক করে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পুলিশে দেওয়া হয়।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের হল সুপার নাদিয়া সুলতানা জানান, হলের মেয়েরা ওই ছাত্রীর রুমে সেই পুরুষের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাকে জানালে তৎক্ষণাৎ আমি হলের রুমে যাই। দরজা খোলার পর আমি তাকে খাটের উপরে বসে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। তৎক্ষণাৎ আমি হল প্রভোস্টকে জানাই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত পারভেজ বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে আমি কপালে টিপ পরে মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি। আমরা শুধুই ভালো বন্ধু।
তবে অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী বলেন, রাতে থাকার জায়গা না থাকায় তাকে হলে নিয়ে এসেছি। তবে আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়েছি। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, হল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠাই। এরপর আটক ছেলেকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হলের অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
ছিনতাইকারীর কবলে অভিনেতা, দিলেন ঘটনার বিবরণ
শুটিং শেষে ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়লেন অভিনেতা হারুন রশিদ (বান্টি)। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই।
সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে হারুন রশিদ লেখেন, কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের ওপর দিয়া যায় নাই টাকার ওপর দিয়ে গেছে।
টাকা-পয়সা নিলেও ছিনতাইকারীরা মোবাইল নেননি এই অভিনেতার। তার ভাষ্য, নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে হারুন রশিদ জানান, ৩০০ ফিট থেকে কমলাপুর যাওয়ার জন্য কাঞ্চন ব্রিজ থেকে একটা সিএনজিতে উঠেছিলেন তিনি। পাঁচ মিনিট যাওয়ার পরই অন্ধকারাচ্ছন্ন এক জায়গায় গাড়ির স্টার্টজনিত সমস্যার কথা বলে দাঁড়িয়ে যায় ড্রাইভার। এরপরই কয়েক ছিনতাইকারী এসে ঘিরে ধরে অভিনেতাকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
অভিনেতা বলেন, ওদের হাতে চাপাতি ছিল। সে কারণে ওরা বলার সঙ্গে সঙ্গে মানিব্যাগ, মোবাইল দিয়ে দিই। সঙ্গে ব্যাগ ছিল। খুব স্মার্ট ছেলেপেলে। বলছিল, ব্যাগে জামা কাপড় ছাড়া কিছু নাই। অন্য এক ছেলে বলছিল উনি তো অভিনয় করেন। ওনার মোবাইলটা নিস না। নিলে আমরা ঝামেলায় পড়ব। টাকাগুলো নিয়ে ওনাকে বিদায় কর। আমাকে শুনিয়েই কথাগুলো বলছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাজটি হয়ে গেল। এরপর ওরা বাম দিকের রোড দিয়ে ঝড়ের বেগে চলে গেল।
হারুন রশিদ বলেন, এরপর আমি নির্বাক হয়ে ফুটপাতে বসে রইলাম। অনেক গাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু হাত নাড়া সত্ত্বেও থামছিল না। পরে একটি বাইক থামে। ঘটনা খুলে বললে তিনি আমাকে পৌঁছে দেন।
প্রসঙ্গত, দেশের নাট্যাঙ্গনে এক নামে পরিচিত হারুন রশিদ। সবাই তাকে বান্টি ভাই বলেই অভিহিত করেন। তবে তার পুরো নাম হারুন রশীদ বান্টি। ২০১৪ সালে আশিকুর রহমানের ‘মুসাফির’ সিনেমায় অভিনয় করার পর থেকে তিনি বান্টি নামেই পরিচিত হতে লাগলেন। এই সিনেমাতে অভিনয়ই তার জীবনের প্রথম অভিনয়। এরপর আরও বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।
বর্তমানে নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেছেন হারুর রশিদ। বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। অভিনয়ে দিন দিন ব্যস্ত হয়ে উঠার কারণে ২০২০ সালে চাকুরি ছেড়ে পুরোদমে অভিনয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠেন তিনি।