বিয়ে করলেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী দর্শন রাওয়াল। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী ধারাল সুরেলিয়ার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন এই গায়ক।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে বিয়ের খবর জানান দর্শন। বিয়ের ছবিতে হাস্যেজ্জ্বল দর্শন-ধারালকে সাবেকি পোশাকে দেখা যায়। বিয়ের ছবির ক্যাপশনে দর্শন লেখেন— “চিরকালের সেরা বন্ধু।”
প্রিয় গায়কের বিয়ের ছবি দেখে অনেক তরুণীর হৃদয় ভাঙলেও শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন নবদম্পতি। শ্যাম নামে একজন লেখেন, “আমরা সবাই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, অবশেষে তা এসে গেছে। এর চেয়ে নিখুঁত আর কিছু হতে পারে না। জীবনের এই সুন্দর নতুন অধ্যায়ে আপনাদের পা রাখতে দেখে হৃদয়টা আনন্দে ভরে গেছে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
আরো পড়ুন:
গ্রেপ্তার সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশি, মুম্বাই পুলিশের ধারণা
সাইফের ওপর হামলাকারী শাহরুখের বাড়িতেও রেকি করেছিল?
২০১৪ সালে রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস র স্টার’-এ অংশগ্রহণ করে খ্যাতি কুড়ান দর্শন রাওয়াল। এরপর ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘সনম তেরি কসম’, ‘তেরা সুরুর’, ‘লাভযাত্রী’-এর মতো বেশ কটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন।
দর্শনের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— ‘মিত্রন’, ‘এক লাড়কি কো দেখা তো আইসা লাগা’, ‘লাভ আজকাল’, ‘লুডো’, ‘রকি অর রানি কি প্রেমকাহানি’, ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’, ‘ইশক ভিশক রিবাউন্ড’ প্রভৃতি। বলিউড ছাড়াও গুজরাটি, তেলেগু সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন দর্শন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েরবাজার কবরস্থানে জুলাই শহীদদের এনসিপির শ্রদ্ধা
রাজনৈতিক দল গঠনের পর প্রথম দলীয় কর্মসূচিতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরপর রায়েরবাজার কবরস্থানে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নবগঠিত রাজনৈতিক দলটি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রায়েরবাজারে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
দুটি কর্মসূচিতেই এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা অংশ নেন।
এসময় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি নতুন প্রজাতন্ত্র গড়তে একটি নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।
জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখতে চান তারা। সেই সঙ্গে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলার মাটিতেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সংগঠনটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ডান-বামের বিভাজনের মধ্যে না গিয়ে মধ্যমপন্থী রাজনীতির সূচনা করার অঙ্গীকার করতে হবে।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এরপর ২১৭ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।