ঝালকাঠিতে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন
Published: 19th, January 2025 GMT
ঝালকাঠির নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা ও জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিরা। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলখানা সড়কের সামনে অভিভাবক ও স্থানীয়দের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলার সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ।
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- প্রধান শিক্ষক আকছেদ আলী খন্দকার, কলেজ শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি আনিচুর রহমান পলাশ ও আহত প্রধান শিক্ষকের মেয়ে নিপু আক্তারসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অ্যাডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে।”
এ সময় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধন শেষে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামালার বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলখানা সড়কের সামনে অভিভাবক ও স্থানীয়দের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগের দোষর আখ্যা দিয়ে তার বিচার চান তারা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পূর্ব প্রস্তুতি চলাকালে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন ১৫ জন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেন এমন অভিযোগে তাকে মারধর করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
ঢাকা/অলোক/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর হ ম এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রাফিতি মুছে বিএনপি নেতাদের নাম, প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ
জুলাই-আগস্টের গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এতে দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ছাত্র মাহবুবুর রহমান জিহাদ ও তানজিদ জামান দিহান। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দিহান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী উপজেলা সমন্বয়ক বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর মধ্যে ধাওয়া, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সম্প্রতি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের দেয়ালে জুলাই-আগস্ট গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম লেখা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধনের আয়োজন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন। বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আনোয়ার হোসেন জনি, খন্দকার তৌফিক আলম সোহেল, মামুনুর রহমান নান্টু প্রমুখ।
সমাবেশের একপর্যায়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। অধিকাংশ দৌড়ে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন আহত হন।
আহত তানজিদ জামান দিহান বলেন, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন দেয়ালে আঁকানো গ্রাফিতি মুছে ফেলা ও জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে ফেলার প্রতিবাদে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন প্রকাশ্যে তার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে ঈশ্বরদী উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদল। ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করেছিল, যা ছাত্রজনতা প্রতিহত করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ছাত্রদের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ এলাকায় উত্তেজনা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানান ওসি।