শিক্ষা প্রশাসনে শীর্ষ অনেক পদ খালি, ধুঁকছে দপ্তর সংস্থাগুলো
Published: 19th, January 2025 GMT
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার শীর্ষ পদ এখন খালি। কোনো কোনো পদ মাসের পর মাস শূন্য আছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো ধুঁকছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, সেবাপ্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব পদ পূরণে তেমন কোনো তৎপরতা নেই মন্ত্রণালয়ের।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষা প্রশাসন একাডেমির (নায়েম) শীর্ষ পদ শূন্য। এর মধ্যে মাউশি মহাপরিচালক পদে দীর্ঘ সময় ধরে কেউ নেই। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ প্রায় এক মাস ধরে খালি। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব পদ মূলত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের দিয়ে পূরণ করা হয়।
মাউশি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সরকার পরিবর্তনের পর ২৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন। তাঁর পদত্যাগের পর মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) এবিএম রেজাউল করীমকে মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তিনিও অবসরে চলে গেছেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শীর্ষ পদ শূন্য থাকায় বর্তমানে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকছে।
কেবল মহাপরিচালক নয়, মাউশির দুটি পরিচালক পদও খালি। তাই এ দুটি উইংও ধুঁকছে। এ ছাড়া উপপরিচালক (মাধ্যমিক) পদেও কেউ নেই।
এদিকে জাতীয় শিক্ষা প্রশাসন একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে এখন কেউ নেই। সর্বশেষ মহাপরিচালক অধ্যাপক ড.
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি পূর্ণকালীন সদস্য পদ খালি। একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন পূর্ণকালীন সদস্য নিয়ে ইউজিসি পরিচালিত হয়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কমিশনের তৎকালীন সদস্যরা পদত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাপক এস এম ফায়েজকে ইউজিসির চেয়ারম্যান, অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীম উদ্দীন খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান ও অধ্যাপক মাছুমা হাবিবকে সদস্য নিয়োগ করা হয়। বাকি একটি সদস্য পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইউজিসির সদস্য পদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সমমর্যাদার।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলেও খণ্ডকালীন সদস্যর একটি পদ খালি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অপর প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপপরিচালক পদও শূন্য।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মোট তিনটি পদ শূন্য। এর মধ্যে শিক্ষা পরিদর্শকের দুটি এ সহকারী শিক্ষা পরিদর্শকের একটি পদ খালি।
দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদ খালি হচ্ছে এ মাসে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) শীর্ষ পদ চলতি মাসেই শূন্য হবে। এনসিটিবির শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালনকারী অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান আগামী ২৮ জানুয়ারি অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাবেন। এনসিটিবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ সদস্য (অর্থ)। এই পদেও বর্তমানে কেউ নেই।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেও (ইইডি) শীর্ষ পদ শূন্য। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ইইডিতে প্রধান প্রকৌশলীর পদ ছাড়াও ২টি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ১০টি নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ১৯টি সহকারী প্রকৌশলীর পদ শূন্য।
সংশ্লিষ্টরা যা বলেন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদ শূন্য থাকা প্রসঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, আগে দপ্তরপ্রধানদের চাকরি শেষ হওয়ার আগেই সেই পদে পরবর্তী কর্মকর্তা কে হবেন তা বাছাই করে রাখা হতো। এতে দ্রুত পদায়ন নিশ্চিত করা যেত। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ন সদস য পদ শ ন য শ র ষ পদ পদ খ ল সরক র ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
নিল ওয়াগনারই সবশেষ পেসার, যিনি ওভারের ৬টা বলের সবগুলো ব্যাটসম্যানের বুক তাক করে করতেন। নিউ জিল্যান্ডের এই অগ্রাসী পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। শনিবার (২৯ মার্চ) প্লাঙ্কেট শিল্ডে শুরু হওয়া নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ওটাগোর মধ্যকার ম্যাচটি এই বাঁহাতি পেসারের, নিজ দেশের ঘরোয়া আসরের শেষ ম্যাচ। যদিও এই ৩৯ বছর বয়সী পেসার ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।
ওয়াগনার আজ থেকে শুরু হওয়া চার দিনের ম্যাচে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলছেন। প্লাঙ্কেট শিল্ডের চূড়ান্ত রাউন্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস যদি ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে এই মৌসুমের শিরোপাও জিতবে তারা। তাহলে ওয়াগনারের বিদায় হতে পারে গল্পের মতো। চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তবে ওয়েলিংটন (৮২) এবং ক্যান্টারবুরি (৮০) এখনও শিরোপা জয়ের দৌড়ে রয়েছে।
ওয়াগনার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “১৭ বছর আগে আমি নিউ জিল্যান্ডে এসেছিলাম এবং এখানে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম ওটাগোর বিপক্ষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে! কাল (আজ) এই যাত্রার সম্পূর্ণ পূর্ণচক্র হবে। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ খেলব ওটাগোর বিপক্ষে। এরপর আমি বিদেশে চলে যাব এবং কাউন্টি ক্রিকেট খেলব ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিব! আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমি এই দুইটি দারুণ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি, যারা আমাকে ব্ল্যাকক্যাপ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ দিয়েছে! অনেক অসাধারণ স্মৃতি রয়েছে। আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই বছরগুলিতে আমার সঙ্গে ছিল। আমার পরিবারকেও তাদের অসাধারণ ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিব।”
আরো পড়ুন:
কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে
পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা
২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে, ওয়াগনার নিউ জিল্যান্ডে ১৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৬০টি প্রথম শ্রেণির উইকেট। গড় ছিল ২৭.০৩। এই সময়কালে দেশের মধ্যে কোন বোলারই তার চেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির উইকেট নিযতে পারেননি।
প্লাঙ্কেট শিল্ডে, ওয়াগনারের ৩৬৫ উইকেট তাকে সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারীর তালিকায় উপরের দিকেই রেখেছেন। তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল স্টিফেন বক (৪৯২), ইউওয়েন চ্যাটফিল্ড (৩৭০) এবং ডেভিড ও’সালিভান (৩৬৮)।
ঢাকা/নাভিদ