“যারাই নির্বাচনে আসবেন তারা পাঁচ বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীনই বটে। আর আমাদেরকে বলে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমি বলি জীবনটাই তো অন্তর্বর্তীকালীন।”

বলেছেন, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

তিনি বলেন, “তারা যেদিন ভুলে যায় তারা অন্তর্বর্তীকালীন নয় সেদিনই তারা ভুল করে, অন্যায় করে এ কথাটি বলে। একটি নির্বাচিত সরকারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এটা মনে রাখতে হবে।” 

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “জুলাই বিপ্লবে গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তর্বর্তীকালীন যে সময়টা পেয়েছি, এই সময়টা জনগণের সেবা করার জন্য একটা আশীর্বাদ এবং বড় দায়িত্ব।  আমাদের চাওয়া পাওয়ার লিস্ট অনেক বড় কিন্তু আমরা হয়তো মানুষের সবটুকু পূরণ করতে পারবো না, তবে সর্বদা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না। সবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, দেশটাকে গড়তে হবে।”

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকায় হলিক্রস কলেজের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে হলিক্রস কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফাহমিদা হোসেন শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। স্মৃতিচারণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শেখ লেটিসিয়া গোমেজ, প্রফেসর ড.

নাশিত কামাল এবং প্রজ্ঞা লাবনী প্রমুখ।

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ হলিক্রস কলেজে তার লেখাপড়া, শ্রেণিকক্ষের পাঠদান, ক্যারেক্টার, স্কেচ ছবি আঁকা, শিক্ষকদের ভয় পাওয়া, সম্মান দেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে গল্পের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই স্কুলে লেখাপড়ায় আমাকে ভিত গড়ে দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের একজন মানুষ গড়নে, মননে গড়ে ওঠার প্রথম জায়গাটা হচ্ছে স্কুল। মূল্যবোধ, গুছিয়ে কথা বলা, সত্যের জায়গায় যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি আমার মনে হয় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোনো মেয়ে তাদের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা, ব্যক্তিত্ব গঠন, নেতৃত্ব বিকাশ ও ক্ষমতায়নে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “আজকে এই কলেজের বর্ষপূর্তি উৎসবে লেকচার দেওয়ার দিন নয়, আমি বলবো অগ্রজ হতে গেলে, মানবকল্যাণে ব্রতী হতে গেলে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আমি সবার কাছে প্রার্থণা চাই, আমরা একটা বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। জুলাই বিপ্লবে অনেক ছেলেমেয়েরা এখন রাস্তার বাইরে। তাদেরকে লেখাপড়ায় কলেজে ফিরিয়ে আনতে হবে, তাদেরকে সুস্থ করতে হবে।” 

সকল শিক্ষকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পরে তিনি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।  

এদিকে বিআইসিসি'র কার্নিভাল হলে এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্লাটফর্ম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪ আয়োজনে শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও জাতীয় বাজেটের সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির রিপোর্টে যা এসেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ধ্বংসযজ্ঞ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমাদের পাঁচ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পরিচালনা করছে।” 

তিনি বলেন, “আমি আমার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর শত কোটি টাকার গতানুগতিক দুর্নীতি বন্ধ করেছি।  সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ভাতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি।” 

তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত উন্নয়ন, পরিকল্পনা করে যখন অফিসারদেরকে নিয়ে এগোচ্ছি, সেই মুহূর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হুট করে অন্যত্র বদলি করার ফলে কাজের গতিশীলতা বাধাপ্রাপ্ত হয়। পুনরায় নতুন অফিসারদেরকে সাথে নিয়ে ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার, মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে আমাদের প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।” 

তিনি শ্বেতপত্র রিপোর্টের যে সুপারিশ এই সিম্পোজিয়ামে আলোচিত হয়েছে তার তত্ত্ব-উপাত্ত সঠিক পর্যায়ে সরকারের কাছে তুলে ধরার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

এ সিম্পোজিয়ামে কমিটির প্রধান ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ অনেক শ্রেণিপেশার মানুষ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব তপত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব

উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।

স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় শপার্স ওয়ার্ল্ড এর পার্কিং লট থেকে। এসময় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী বাঙালি পায়ে হেঁটে টায়রা এভিনিউ ধরে সমবেত হন ডেন্টনিয়া পার্ক শহীদ মিনার পাদদেশে। 

টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। এদিন শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে ছিল বৈশাখী মঙ্গলশোভা যাত্রা।

আয়োজকরা জানান, নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কানের ইতিহাসে এবারই প্রথম
  • অষ্টগ্রামের বিস্তীর্ণ হাওরের বুকে ধান কাটার উৎসব
  • এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর
  • ভেড়াডহর গ্রামে উরিগানের আসরে
  • এমপিওভুক্ত পৌনে ৫ লাখ শিক্ষকের বোনাস বাড়ছে
  • প্রথম আলোর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব আগামী ১৫ ও ১৬ মে
  • পয়লা বৈশাখের পর বৈশাখী ভাতা পেলেন মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা
  • কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
  • আরাকান আর্মির বাংলাদেশের আকাশীমা লংঘ‌নের প্রতিবাদ
  • অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত