পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আর যৌথ নামে কেনা যাবে না
Published: 19th, January 2025 GMT
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর পর এবার পরিবার সঞ্চয়পত্রের নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে সরকার। এখন থেকে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এই সঞ্চয়পত্র যুগ্ম নামে কেনা যাবে না এবং প্রতিষ্ঠানের টাকাও এই সঞ্চয়পত্রে খাটানো যাবে না।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।
জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের যোগ্যতা ১৮ বছর এবং তার বেশি বয়সের যে কোনো বাংলাদেশি নারী, যে কোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও নারী) এবং ৬৫ ও তার বেশি বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ যে কোনো বাংলাদেশি পুরুষ নির্ধারিত ফরমে এই সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করতে পারবেন।
এতে বলা হয়েছে, একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এই সঞ্চয়পত্র যুগ্ম নামে কেনা যাবে না এবং প্রতিষ্ঠানের টাকাও এই সঞ্চয়পত্রে খাটানো যাবে না। এতদিন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করা যেত ৫০ লাখ টাকা। তবে একক নামে বিনিয়োগ সীমা ছিল ৪৫ লাখ টাকা।
চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ছে, এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিমের ধরন অনুযায়ী) মুনাফার হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত মঙ্গলবার বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে। অর্থ বিভাগের তৈরি এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুনাফার এ হার ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্ধিত হারের কারণে কোনো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১২ শতাংশের কম হবে না। সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.
বর্তমানে ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি, এই তিন ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপে আলাদা মুনাফার হার রয়েছে। তবে নতুন নিয়মে দুটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারীরা। আর অপর ধাপে এর ওপরের বিনিয়োগকারীরা থাকবেন।
ঢাকা/হাসনাত/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যে সংযোজন- বিয়োজনসহ বায়োমেট্রিক জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপ-পরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে। রাতে অফিসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্টি অপারেটরকে দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। তখন নথিপত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে তারা দুর্নীতির তথ্য পান। বিশেষ করে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক জালিয়াতির প্রমাণ পায় তদন্তকারী দল। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশকে কল দিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে তাদের হেফাজতে দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী দলসহ তারা সরেজমিনে গিয়ে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুল আমীন বলেন, দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।