নাটোর থানায় ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, এসআই প্রত্যাহার
Published: 19th, January 2025 GMT
নাটোর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানায় আসা এক ব্যক্তি এই এসআইয়ের হাতে অর্থ প্রদান করছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এরপর, এসআই আমিনুল ইসলামকে পদচ্যুত (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান।
ভিডিওতে দেখা যায়, এসআই আমিনুল ইসলাম টাকা গ্রহণ করে ড্রয়ারে রেখে দেন। সেবা প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘৩০০ টাকা চা খেতে দিয়েছি’।
এছাড়াও তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এক হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
মামুন হোসেন নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি তার এক পরিচিত একজনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে গেলে এই এসআই তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তিনি দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এসআই তাকে পুনরায় ফোন করে টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, “এ ঘটনা পুলিশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এসআই আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঢাকা/আরিফুল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।