বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বায়ুদূষণ দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুদূষণে মৃত্যুর হার উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও তামাকের কারণে হওয়া মৃত্যুর হারকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে। এটি রোধ করা গেলে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের অকালমৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। 

বায়ুদূষণের কারণে যত লোকের মৃত্যু হয়, তাদের ৪৮ শতাংশ ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা। এসব স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে বিরাট অর্থনৈতিক ব্যয় জড়িত। যার মধ্যে উচ্চতর স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস অন্তর্ভুক্ত। ২০১৯ সালে সার্বিকভাবে এই ব্যয় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা দেশের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ। বায়ুদূষণ কমলে রক্ষা পাওয়া যাবে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি থেকে।

ফিনল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) গবেষণায় এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব-সংক্রান্ত এই গবেষণা প্রতিবেদন গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়। সিআরইএ ও সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ (ক্যাপস) যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইটের তথ্য, আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার ও সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এই গবেষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জেমি কেলি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ (অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি) রোধ করা গেলে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এই দূষণ রোধ করা গেলে বছরে ৫ হাজার ২৫৪ শিশুর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। এ ছাড়া হৃদরোগে ২৯ হাজার ৯২০ জন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ২৩ হাজার ৭৫ জন, সিওপিডিতে (ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি) ২০ হাজার ৯৭৬ জন, নিউমোনিয়ায় ৯ হাজার ৭২০ জন এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে ৩ হাজার ৬৩ জনের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।

গবেষণায় উঠে এসেছে, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা হাঁপানির কারণে বছরে প্রায় ৬ লাখ ৬৯ হাজার মানুষকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হয়। এই দূষণের কারণে বছরে ২৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মদিবস নষ্ট হয়। বায়ুদূষণের কারণে বছরে ৯ লাখ ৪৮৫ শিশুর অকাল জন্ম হয়। ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৯ শিশু ওজন স্বল্পতায় ভোগে। বায়ুদূষণ না থাকলে বছরে মানুষের মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ কমবে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। বায়ুদূষণের কারণে যাদের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ৪৮ শতাংশ ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরের। গ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুদূষণ কম বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের কারণও তুলে ধরা হয়েছে এই গবেষণায়। এতে প্রথম কারণ হিসেবে শিল্পকলকারখানার বায়ুদূষণকে তুলে ধরা হয়েছে। এর পর রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, যানবাহনের দূষণ, নির্মাণকাজ, বর্জ্যসহ বিভিন্ন জিনিস পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ। এ ছাড়া মৌসুমি ধূলিঝড় ও অন্য দেশ থেকে আসা দূষিত বায়ুও বাংলাদেশের বায়ুদূষণের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। সিআরইএ-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্লেষক ও এই গবেষণার প্রধান গবেষক ড্যানিয়েল নেসান বলেন, বায়ুমানের সামান্য উন্নতিও জাতীয় পর্যায়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে।

পরিবেশ বিগত সরকারের উন্নয়নের বলি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত সরকারের উন্নয়নতত্ত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন তুলতে হবে। শিল্প এলাকায় কারখানা না করে আবাসিক ও ফসলি এলাকায় করছে, এমন অসৎ ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে বলে অভিযোগ করেন আদিল মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ আছে। কিন্তু এই সরকার পরিবেশ দূষণের জন্য একজন বড় ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করেনি। রাস্তায় পানি ছিটিয়ে বায়ুদূষণ কমানো যাবে না। ঢাকাকে আরও আবাসযোগ্য করতে বহুতল ভবনের অনুমোদন, যানবাহন বাড়ায়– এমন প্রকল্প সরকার অনুমোদন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি শুধু মানবদেহেরই ক্ষতি করছে না, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

ঢাকার বায়ুদূষণকে ‘রেড কনসার্ন’ উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, দূষণ রোধে মন্ত্রণালয় শেষ সামর্থ্যটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত নজরদারি করছে। নির্মাণ উপাদান রাস্তার ওপর রাখলে জরিমানা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে সুইডিশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম বলেন, বায়ুদূষণ বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর অন্যতম 
গুরুতর সমস্যা। গণপরিবহন বায়ুদূষণ রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি গণপরিবহন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানান।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতায় ভোগা অনেক রোগী পাচ্ছেন তিনি। দূষিত বায়ুর কারণে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় উল্লেখ করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, বায়ুদূষণের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে হাঁচি-কাশি হয়। তবে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। বায়ুদূষণ রোধে সরকারের যে নির্দেশনা, তা সরকারি ও বেসরকারি নির্মাণকাজের সময় মানা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র পর ব শ র ধ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণপরিষদ নির্বাচনসহ ১১ দফা বিপ্লবী পরিষদের

জুলাই বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আগামী জুনে গণপরিষদ নির্বাচন ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠনসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান এ ডাক দেন।

এ সময় জুলাইয়ের শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন, শহীদ নাইমা সুলতানার মা আইনুন নাহার ও শহীদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আন্দোলনকে সমর্থন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপিকে গভীরভাবে ভাবার আহ্বান জানিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, “দেশে দীর্ঘদিন নির্বাচিত সরকার না থাকলে বিদেশি শক্তি ও পতিত ফ্যাসিবাদ নানা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে। এমনকি বন্ধু দেশগুলোও লবিস্টদের দৌরাত্ম্যের কারণে ভুল পদক্ষেপের খপ্পরে পড়তে পারে। আবার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ছাড়া দ্রুত নির্বাচন দিলে অশুভ শক্তি পতিত ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করে বসতে পারে।”

তিনি বলেন, “এ অবস্থায় গণপরিষদ নির্বাচন হলো একমাত্র বিকল্প। যার মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দেশ একটি নির্বাচিত কর্তৃপক্ষ পাবে। এর ফলে গণপরিষদের সম্ভাব্য বড় দল বিএনপির ক্ষমতা বিষয়ক আতঙ্ক দূর হবে। পাশাপাশি দলটি সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব পেয়ে কেমন সংস্কার করে, ভিন্নমত কতটা শোনে এবং জনগণের কতটা অধিকার দিতে রাজি হয়, তাও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান আরিফ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাবেয়া আক্তার, আবদুল আহাদ নূর, সহকারী সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, গালীব ইহসান, সৌরভ শাকিল, ডা. মাসুম বিল্লাহ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. মেহেদি হাসান মাহি ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইসতেকার ইসলাম অর্ণব, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ফরহাদ আহমেদ প্রমুখ।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. জুলাই গণহত্যা, শাপলা চত্বর, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের হত্যার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। জড়িতদের দেশ-বিদেশ থেকে বন্দী করে আনার জন্য বিশেষ বাহিনী গঠন। ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাতিল এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা।

২. শহীদ পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা।

৩. জুন ২০২৫-এ গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে। গণপরিষদে শহীদ পরিবারের সদস্য, ছাত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।

৪. গণপরিষদ কর্তৃক '৭২ এর সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি অপসারণ এবং উপদেষ্টা সরকার ভেঙে দিতে হবে।

৫. ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি শাসিত বিপ্লবী সরকার গঠন। এ সরকারের একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রিপরিষদ থাকবে, যার নেতৃত্ব দিবেন গণপরিষদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী।

৬. জানুয়ারি ২০২৬ এর মধ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন।

৭. ড. ইউনূসকে চেয়ারম্যান এবং সেনাপ্রধানকে ভাইস-চেয়ারম্যান করে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করতে হবে। এ পরিষদ দেশ বিরোধী সকল চুক্তি পর্যালোচনা করে বাতিল করবে, সব বাহিনীকে পুনর্গঠন করবে এবং পুনর্গঠনকালীন সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন করে অর্থনীতি সচল ও সংস্কার, কালো টাকা উদ্ধার ও সিন্ডিকেট ভাঙা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য জনগণের আয়ত্তের মধ্যে রাখা।

৯. আধুনিক, উন্নত মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণীর পেশা ঘোষণা করে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন প্রদান, মাস্টার্স পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের জন্য সুদমুক্ত শিক্ষা ঋণ চালু এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদেশে উন্নত আবাসন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১০. সব গরিব ও মেহনতি মানুষের চিকিৎসা খরচ রাষ্ট্র বহন করবে। সব নাগরিকের জন্য ব্যয়বহুল জটিল রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে হতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সব বিভাগে একাধিক বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১১. ঘণ্টা প্রতি সার্বজনীন মজুরি ঘোষণা করতে হবে। বিনা সুদে কর্মসংস্থান ঋণ প্রদানের পাশাপাশি শ্রমজীবীদের জন্য আবাসন ও সন্তানদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণপরিষদ নির্বাচনসহ ১১ দফা বিপ্লবী পরিষদের