ডিএসই সূচক গণনায় যুক্ত হয়েছে ৮৭ শেয়ার
Published: 18th, January 2025 GMT
ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আজ রোববার থেকে তালিকাভুক্ত ৩২৬ কোম্পানির শেয়ারের দর ও বাজার মূলধনের ভিত্তিতে গণনা করা হবে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫৩ শেয়ার নিয়ে সূচকটি গণনা হতো। গত বছরের শেষ ছয় মাসের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর টাকার অঙ্কে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ এবং বাজার মূলধনের ভিত্তিতে ৮৭টি শেয়ার যুক্ত হয়েছে। বাদ পড়েছে আগের ১৪ শেয়ার।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার সূচকে যুক্ত হওয়ায় সূচকের ওঠানামায় তার প্রভাব থাকবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বৃহৎ বাজার মূলধনি শেয়ারগুলোর দর ওঠানামা কম হওয়ায় বড় বেশি পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে গত সপ্তাহের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বেশির ভাগ ‘পেনি স্টক’ বা স্বল্প মূল্যের শেয়ার দর হারালেও সপ্তাহের হিসাবে এমন শেয়ারের দরেই জয়-জয়কার ছিল। শেষ পর্যন্ত ভালোমন্দ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। কমেছে মূল্য সূচকও। তবে লেনদেনের পরিমাণ ৯ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইর মূল লেনদেন প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০৭টির দর বেড়েছে, ২৬৩টি দর হারিয়েছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির। এতে ডিএসইএক্স সূচক ৬০ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৩৪ পয়েন্টের নিচে নেমেছে। তবে সার্বিক লেনদেন ১৫৭ কোটি টাকা বেড়ে ১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সাপ্তাহিক গড় লেনদেন বেড়ে উন্নীত হয়েছে ৩৭৮ কোটি টাকায়।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহের শেষে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পতন থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ দর বেড়েছে বা কমেছে ১৬৬টির। এমন শেয়ারের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ, এমজেএল বাংলাদেশ, বিএটি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার, বার্জার পেইন্টস, রবি, যমুনা অয়েল, এক্মি ল্যাবরেটরিজ, স্কয়ার ফার্মার মতো কোম্পানি।
কমপক্ষে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ দর বেড়েছে ২৯ কোম্পানির। আর ৫ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে মোট ৪১ কোম্পানি। ১৮ শতাংশ দর হারিয়েছে ফাইন ফুডস এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক। ১০ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে ইসলামিক ফাইন্যান্স, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স।
সাড়ে ২৮ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষে ছিল বন্ধ কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে আগের দিনের তুলনায় সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ শতাংশ দর বেড়ে ২০ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল। লেনদেনের শেষ সোয়া ২ ঘণ্টায় সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দর ১৭ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল। অর্থাৎ এক দিনেই শেয়ারটির দর ওঠানামা করেছে ১৯ শতাংশের বেশি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক-লেনদেন বেড়েছে
দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
শনিবার (১ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬.৯৩ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৩৪ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.০৮ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮.৪৪ পয়েন্ট বা ১.৭৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ০.৫১ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬১টির, দর কমেছে ১৮০টির ও দর অপরিবর্তিত ২৯ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৫টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৪.৪০ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.১৬ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৯২৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮৪ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৫৩ শতাংশ বেড়ে ৯৪৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির, দর কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/মাসুদ