Samakal:
2025-04-25@05:07:11 GMT

শরীরের ভাষা পড়ে মানুষ বুঝুন

Published: 18th, January 2025 GMT

শরীরের ভাষা পড়ে মানুষ বুঝুন

জেমস বর্গ। দীর্ঘদিন কাজ করছেন শরীরের ভাষা নিয়ে। তাঁর মতে, মানুষ অভিব্যক্তির ৯৩ শতাংশই শরীরী ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে সক্ষম। মাত্র ৭ শতাংশের জন্য তাকে শাব্দিক ভাষা ব্যবহার করতে হয়। এ শরীরী ভাষা দিয়েই আমরা বুঝতে পারি কার মনের অবস্থা কেমন, শরীরের অবস্থা কেমন। বাক্‌প্রতিবন্ধীদের কথা যদি বলতে হয়, তবে ওদের মুখ থেকে শব্দটি বেরোয় না। যেটি বেরোয়, সেটি বোঝার সাধ্য কার? তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখেই বোঝা যায় তারা কী বলতে চায়। সারাদিন বাইরে ঘুরে ঘুরে বাড়িতে ফিরলে মা যেমন সন্তানের চেহারার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারেন, সারাদিন কিছু খায়নি। সম্পর্কোন্নয়নের জন্য এই শরীরী ভাষা জানাটা ভীষণ জরুরি। 
যদি থেমে যায় কিংবা সরে যায় দূরে: কেউ যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি যদি তার কাছাকাছি যেতে চান, তবে নিজেও খানিকটা এগিয়ে যান। যদি দেখেন আপনার সঙ্গী ওখানে থেমে গেছে কিংবা দূরে সরে গেছে, তবে বুঝতে হবে সে আপনার কাছাকাছি আসতে চাইছে না। যদি আপনার কাছে একটু একটু করে এগিয়ে আসে, বুঝতে হবে সে আপনাকে পছন্দ করে।
মাথা নাড়ানোর ভঙ্গি: সঙ্গীর মাথা নাড়ানো দেখেও বোঝা যায় অনেক কিছু। কারও প্রতি সহানুভূতি, রাগ, অভিমান প্রকাশ করা যায় কেবল মাথা নাড়িয়েই। কেউ মাথা নিচু করে থাকলে বুঝতে হবে আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাতে চাইছে বা সে লজ্জিত; অথবা সে আপনাকে সম্মান দেখাচ্ছে। আপনি যদি বস হন, তবে আপনার সামনে অধস্তন কেউ যদি মাথা উঁচু করে থাকে, বুঝতে হবে সে আপনাকে তোয়াক্কা করে না।
মনের কথা চোখে: কেউ মিথ্যা বলছে কিনা, নার্ভাস কিনা বোঝা যায় চোখের দিকে তাকালে। আমাদের অনেক আবেগ আছে, যা চোখ দিয়েই বোঝা যায়। বলা যায়, মনের কথাগুলোই চোখ বলে দেয়। 
অনুকরণের ভাষা: খেয়াল করে দেখুন তো কেউ আপনাকে অনুকরণ করছে কিনা? এই অনুকরণের ভাষা কথায় হতে পারে, কাজে হতে পারে, অঙ্গভঙ্গিতেও হতে পারে। যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনাকে অনুকরণ করছে, তবে সে আপনার কাছাকাছি আসতে চায়। 
কেউ কিছু লুকোচ্ছে?: খেয়াল করুন, কেউ আপনার সামনে এসে নার্ভাস বা বিচলিত হয়ে পড়ছে কিনা। এটি বোঝা যাবে তার কথা বলার ভঙ্গিতে। গলার স্বরে। তার চোখের ভ্রু দেখেও বোঝা যায়। 
যেভাবে বদলাবেন: নিজের শরীরের ভাষা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করা। ধরা যাক, আজ সারাদিন আপনি যাদের সঙ্গে কাটিয়েছেন, তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলেছেন কিংবা তাদের সঙ্গে আপনার শরীরের অঙ্গভঙ্গি কেমন ছিল, সেটি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আবার করুন। u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র ক ছ আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

তিরিশের বেশি বয়সীদের ব্রেনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন

বয়স তিরিশের বেশি হলেই ব্রেনের যত্নে আমাদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। কারণ এই সময় অনেকগুলো হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, ফলে শরীর ও ব্রেনে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। মনোবিদরা বলছেন, তিরিশের বেশি বয়সীদের ব্রেনের যত্নে ৫ টি দিক খেয়াল রাখা উচিত।

১.তিরিশের বেশি বয়সীদের শরীরের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন। আর ব্রেনের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজ। পর্যান্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজের অভাবে ব্যক্তি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। রাগ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ যেকোন কিছু মনে করা কঠিন হতে পারে। সুতরাং এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা শরীর এবং ব্রেনের জন্য ভালো। 

২. আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার অভাব নেই।  তিরিশের পরে ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি, দায়িত্ব নিয়ে ব্রেনে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় আপনি যদি আপনার ব্রেনকে বিশ্রাম না দেন, তাহলে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন একটি ট্রেনকে বিশ্রাম দিতে হয়, ব্রেনকেও সেভাবে বিশ্রাম দিন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ফেলুন। হাসি-খুশি থাকার উপায় খুঁজে নিন। 

আরো পড়ুন:

তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমরা কেন ঘুমাই

৩. তিরিশ বছরের পরে ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন জাতীয় হরমোনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। যার প্রভাব পরে ব্যক্তির মন ও মেমোরির ওপর। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ব্যায়াম করা জরুরি। ভার উত্তোলন—এর মতো ব্যায়াম বেশি উপকারী।

৪. তিরিশের পরে মন সব সময় শান্ত রাখা কঠিন। সুতরাং মেন্টাল ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য একটি রুটিন ফলো করতে পারেন। মেডিটেশন, জার্নালিং, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। 

৫. লাভ হরমোন ‘অক্সিটোসিন’ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। যার ফলে ব্যক্তি অনেক বেশি একাকীত্ববোধ করেন, বিরক্তির প্রকাশ ঘটান। এই সময় পারিবারিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন।

সূত্র: আভাসা মেন্টাল হেলথ থেকে অনূদিত

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ