কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ ডাকায় তিন দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষে তিনজন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ২০টি দোকান ও বাড়ি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে যান। এসময় দলের কয়েকজন তার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন দলের অন্য পক্ষের কয়েকজন সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ বলে মন্তব্য করে। শরীফুল আলম চলে যাওয়ার পর সেখানে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আক্তার মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুপুরে আবারও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। বিকেলে তৃতীয় দফা সংঘর্ষ হয়। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সাধারণ মানুষের ২০টি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে।

১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৪০), জসিম উদ্দিন (৪০) এবং ভৈরবপুরের রাতুল মিয়া (২৭) আহত হন। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেন। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে। টহল পুলিশ রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ক শ রগঞ জ স ঘর ষ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সুনামগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এসময় রোববার তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।

পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিশ্চিত ও অবিলম্বে কলেজ হাসপাতাল চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলনের সপ্তম দিনেও উত্তপ্ত ছিল এই মেডিকেল ক্যাম্পাস। মিছিল, স্লোগানে তারা তাদের অনিশ্চিত শিক্ষা জীবনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ, বৃহস্পতিবার শহরের আলফাত স্কয়ারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যসেবা সচিব বরাবরে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার শান্তিগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও জনসংযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় তাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১০
  • নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন
  • মুন্সীগঞ্জে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ ছিনতাইকারী বাবু মিজি আটক
  • রূপগঞ্জে গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লাটপাট : নারী-শিশু সহ আহত ৯
  • সোনারগাঁয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, বিএনপির প্রতিবাদ
  • ৭ বছরে পদার্পণ করল বিউটি ই-কমার্স চারদিকে
  • খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
  • প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সুনামগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • ‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ খোয়া গেলো ব্যবসায়ীর লাখ টাকা