মামলার পর চার আসামি গ্রেপ্তার, দুই আসামির বাড়িতে আগুন
Published: 18th, January 2025 GMT
শিশু সাফওয়ান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা মো. ইমরান সিকদার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ মোট ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গত শুক্রবার বিকেলে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করা হয়। এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজধানী ঢাকা থেকে গৌরনদীর মধ্য হোসনাবাদ গ্রামে দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিখোঁজ ও হত্যাকাণ্ডর শিকার হয় সাফওয়ান (৫)। শুক্রবার সকালে গ্রামের রাস্তার পাশের ঢালু জমির ভেতরে পড়ে ছিল শিশুটির লাশ। এদিন বাদ আছর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
জানাজায় অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা ও গ্রামবাসী মিলে সাফওয়ান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো.
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে পুরোনো বিরোধের জেরে প্রতিবেশী লোকমান চৌকিদার, মোজাম্মেল হক চৌকিদার, তাদের স্বজন ও সহযোগীরা মিলে শিশুটিকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বাদ আছর জানাজা শেষে সাফওয়ানের লাশ দাফন করা হয়। এ সময় জানাজায় অংশগ্রহণকারী বিক্ষুব্ধ জনতা ও গ্রামবাসী মিলে মামলার আসামি লোকমান হোসেন চৌকিদার এবং সরিকল ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন চৌকিদারের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ি দুটির সব আসবাব ও দরজা-জানালা পুড়ে যায়। আগেই পরিবার দুটির সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানান, তারা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে পাকা ভবনের বাড়ি দুটির সবকিছু পুড়ে যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’