প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপন ভিডিও ধারণ, টাকা আদায়
Published: 18th, January 2025 GMT
কখনও ফেসবুকে কখনও কার্যালয়ে গিয়ে পরিচয়। ধীরে ধীরে গড়ে তোলে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে অসুস্থতার বাহানা করে ডেকে নেয় নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে। তারপর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। হাতিয়ে নেয় টাকা। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রতারণা করে আসছে কয়েকটি চক্র। সম্মানহানির ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে চান না ভুক্তভোগীরা। যে কারণে দিন দিন বেড়েই চলছে প্রতারক চক্রের তৎপরতা।
বিষয়টি নিয়ে তিন মাস অনুসন্ধান চালিয়েছে সমকাল। গুরুদাসপুর উপজেলার প্রায় ১০ জন সরকারি চাকরিজীবী ও ৫ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের কথাবার্তায় উঠে এসেছে এই প্রতারণার তথ্য। একেকটি প্রতারণার ঘটনা যেন একেকটি নাটক-সিনেমার দৃশ্যপট। সেখানে থাকে পুলিশের অভিনয়, সাংবাদিক, কেউবা আবার গোয়েন্দা সংস্থার লোক। সেই নাটকের মূল চরিত্রে থাকে সুন্দরী তরুণী। তাদের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন একেকজন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন গুরুদাসপুর পৌরসভার একজন কর্মকর্তাও। তাঁর ভাষ্য, প্রায় তিন মাস আগে পৌরসভার কাজকর্ম শেষ করে একটু প্রশান্তির জন্য চলনবিল বিলশা এলাকায় ঘুরতে যান তিনি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগের মুহূর্তে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন, ঠিক এমন সময় সুন্দরী এক তরুণী এসে সালাম দেয়। সালামের জবাব দিলে দু’জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। তরুণী তাঁকে চিনলেও তিনি চিনতেন না। তরুণী তখন বলে, তার জন্মসনদের একটু কাজ করে দিতে হবে– এই বলে ফেসবুক আইডি চেয়ে নেয়। এরপর দিনরাতে বিভিন্ন সময় মেসেজ করত। তিনিও জবাব দিতেন। কথা বলতে বলতে দু’জনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। সম্পর্ক শুরুর প্রায় ১০ দিন পর হঠাৎ একদিন রাত ৮টার দিকে ওই তরুণী কল দিয়ে বলে, সে খুব অসুস্থ, বাসায় কেউ নেই। ওষুধ নিয়ে আসারও কেউ নেই। তাই জ্বরের ওষুধ কিনে দিতে অনুরোধ করে। মানবিক দিক চিন্তা করে ওষুধ নিয়ে ওই তরুণীর দেওয়া ঠিকানায় গুরুদাসপুর বাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাটে যান তিনি। যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ছয়-সাতজনের একটি চক্র মারধর শুরু করে। নগ্ন করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে একজন পরিচয় দেয় পুলিশ, একজন সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার লোক ও স্থানীয় বাসিন্দা। কিছুক্ষণ পরে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করে। পরে অনেক চেষ্টা করে ১ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি। সম্মানহানির ভয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর।
এই চক্রের খপ্পরে পড়েন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন। এই ভুক্তভোগী জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় নিজ কার্যালয়ে। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও পরে প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। এরপর একদিন অসুস্থতার কথা বলে তাঁকে ডেকে নেয় একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ছয়-সাতজনের একটি গ্রুপ তাঁকে বিব্রত করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এতেই শেষ হয়নি। তারপর কয়েক ধাপে বিভিন্নভাবে তাঁর কাছ থেকে আরও ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। সম্মানহানির ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে চাননি তিনি।
এই চক্রের ফাঁদে পড়েন চাঁচকৈড় বাজারের এক ব্যবসায়ীও। তাঁর ভাষ্য, ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মাঝে মধ্যেই তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে গল্প করে চলে যেত মেয়েটি। প্রায় ১৫ দিন কথা বলার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক মাস পর তাঁকে বাড়িতে ডেকে নেয় তরুণী। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর ৮-১০ জনের একটি চক্র তাঁকে নগ্ন করে মারধর করে। এসবের ছবি ও ভিডিও করে। পরে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনও রাতে ঘুমাতে পারি না। কারণ চক্রের সদস্যদের কাছে আছে সেই ভিডিও। কখন জানি আবার টাকা দাবি করে কিংবা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়।’ তিনিও আত্মসম্মানের ভয়ে থানায় অভিযোগ দেননি।
প্রতারকের খপ্পরে পড়েন রুহুল আমিন (ছদ্মনাম) নামে একজন। এ ঘটনায় চক্রের ১৮ সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন তাঁর ছেলে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– নারায়ণপুর গ্রামের রাসেল ইসলাম, সাবিদুল ইসলাম ও মিঠুন শেখ। রাসেলের বিরুদ্ধে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইসহ হত্যা মামলা রয়েছে। কারাগারে রয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী জানান, গত মঙ্গলবার গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে ওয়াজ মাহফিলে যান তিনি। সে সময় চক্রের এক নারী সদস্যকে দিয়ে তাঁকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই নারীর সঙ্গে তাঁকে আপত্তিকর অবস্থায় রেখে ভিডিও ধারণ করে। ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অভিযুক্তরা। টাকার জন্য তাঁর ছেলেকে ফোন করলে সে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১৮ জনের নাম বলেছে তারা। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাঁর দাবি, নির্দিষ্টভাবে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে দ্রুত এসব চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়। তারপরও পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজের ভাষ্য, যারা ফাঁদে পা দিচ্ছেন তাদের আরও সচেতন হতে হবে। যেসব ভুক্তভোগী ভয়ে বা সম্মানহানির ভয়ে আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না, তারা ভুল করছেন। সাহস করে পরিচয় গোপন রেখেও চক্রের বিরুদ্ধে তথ্য দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
চট্টগ্রামের পাঁচ থানার পুলিশ তটস্থ দুই চিহ্নিত সন্ত্রাসীর কাছে। তাদের নিজস্ব বাহিনীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দিশেহারা বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, খুলশী, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী থানার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। সবার কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুল (৩৪) ও সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ (২৫)। খুন, অপহরণ, ছিনতাই, জমি দখল– এমন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা করেন না। কিন্তু পুলিশ তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারে না। ফেসবুক লাইভে গত মঙ্গলবার সাজ্জাদ হত্যার হুমকি দিলে জিডি করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার। সিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে তথ্যদাতা ও সহায়তাকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
নগর ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সাইফুল বায়েজিদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনির নুরুল আমিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৯টি মামলা রয়েছে। সাইফুলের দুই ভাই– সবুজ ওরফে বার্মা সবুজ ও মো. ফাহিমও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তিন ভাইয়ের শতাধিক সদস্যের আলাদা বাহিনী রয়েছে। সবুজ পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে অন্তত ৩৫টি। অন্যদিকে সাজ্জাদ হাটহাজারী থানার শিকারপুর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধেও তিন খুনসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, খুলশী থানা ও আশপাশের এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ সবকিছুরই নিয়ন্ত্রণ করে তিন ভাই। গত ১১ অক্টোবর বায়েজিদ থানার শান্তিনগর এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন মোহাম্মদ ইমন (২৮)।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাইফুল ও সবুজকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর পর গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন সবুজ।
২০১০ সালে চাঁদাবাজির মাধ্যমে অপরাধে হাতেখড়ি সাইফুলের। এর পর নানা অপরাধে কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। কিন্তু প্রতিবার জামিনে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়েছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে সক্রিয় হন সাইফুল। নগরের ষোলশহর এলাকায় জুয়ার আসর ও মাদকের ডেরা খোলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় মাদকের আখড়া ও জুয়ার আসর বন্ধ করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল ও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা গত ১২ জানুয়ারি দিন-দুপুরে লোকজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। নাসির উদ্দিন জানান, এলাকায় জুয়া, মাদকসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কমিটি করা হয়। কমিটির তথ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আখড়া বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বার্মা সাইফুলের নেতৃত্বে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালানো হয়।
গত ২৫ জানুয়ারি নগরের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে মন্দিরের পুরোহিতসহ তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে বার্মা সাইফুলের বাহিনী। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের একজন বাছির আহম্মদ ওরফে রানা। গত ১১ অক্টোবর বাছিরকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে সাইফুল বাহিনীর হামলার শিকার হয় পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বায়েজিদ থানা পুলিশের সঙ্গে সাইফুলের সখ্য রয়েছে। এ জন্য অন্যান্য থানা এলাকায় অপরাধ করেও তিনি নিরাপদ আছেন নিজের এলাকায়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও সাইফুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন– তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কি আওয়ামী দোসরদের তৈরি করা তালিকা? সেদিন ওসি ফোন করে বললেন, কয়েকজন স্থানীয় ছেলেকে রাতে পুলিশের টহল টিমকে সহযোগিতার জন্য পাঠাতে। তখন তালিকা কি পকেটে থাকে?
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘একজন সন্ত্রাসীর কাছে কেন সহযোগিতা চাইতে যাব? সন্ত্রাসীরা নিজেকে রক্ষায় অনেক কিছুই বলে। সাইফুল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে থাকতে পারে– এমন সম্ভাব্য সব জায়গায় হানা দেওয়া হচ্ছে। তার সহযোগীদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
তিন খুনের পরও অধরা সাজ্জাদ
বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমি বেচাকেনা করলেই ফোন আসে সাজ্জাদের। চাঁদা দিতে গড়িমসি করলে শিষ্যদের দিয়ে হামলা করান। নয়তো প্রকাশ্যে চালান গুলি। বিদেশে পলাতক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের শিষ্য হিসেবে ছোট সাজ্জাদের অপরাধে হাতেখড়ি হলেও, এখন নিজেই চালান বাহিনী। গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে নগরের কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে আধিপত্যের লড়াইয়ে গুলিতে নিহত হন মো. আনিস (৩৮) ও মাসুদ কায়ছার (৩২)। এ ঘটনায় হাটহাজারী ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার পৃথক মামলাতেই আসামি সাজ্জাদ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বায়েজিদ বোস্তামীর কালারপুলে নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে গুলি চালান সাজ্জাদ। ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাসে এসে গুলি করে হত্যা করেন ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে (২৬)। পরে গত ৫ ডিসেম্বর অক্সিজেন এলাকায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালালে পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। দুই পুলিশসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই মাসেও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। অবশ্য ২৭ জানুয়ারি অস্ত্রসহ তাঁর ছয় অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকায় সাজ্জাদের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পাঁচ বাসিন্দা জানান, মানুষ সাজ্জাদের বাহিনীর কাছে অসহায়। এখানে তাঁকে চাঁদা না দিয়ে একটি ইটও সরানো যায় না। একে একে তিনটি খুনের পরও আঁতাতের কারণে সাজ্জাদকে ধরে না পুলিশ।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন বলেন, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে গুলি করে পালিয়ে যান তিনি। গ্রেপ্তার করে তাঁর কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করাই পুলিশের লক্ষ্য।