মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। আজ শনিবার ঢাকায় তিনি এ মানব পাচারবিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। 

কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউএসএআইডি ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল। এতে দেশের বিভিন্ন জেলার মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক এবং জাতি’র ফ্যাকাল্টি সদস্যসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি বিচারকদের মানব পাচারের মামলা পরিচালনায় ও দ্রুত নিষ্পত্তিকরণে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, যা বিচার প্রক্রিয়াকে উন্নত ও মামলার রায়ের হার বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
    
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি শাখা) খন্দকার মো.

মাহবুবুর রহমান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের, জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) সাব্বির ফয়েজ এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ডেমোক্রেসি, রাইটস অ্যান্ড গভর্নেন্স অফিসের পরিচালক মিস আলেনা জে. ট্যানসি।  

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম মানব পাচারকে আধুনিক যুগের দাসত্ব এবং একটি অত্যন্ত সংঘবদ্ধ অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। মানব পাচার প্রতিরোধে সরকারের প্রতিশ্রুতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ