নতুন মডেলের ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট। নতুন বছরে নতুন প্রজন্মের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই পিসি লাইনআপ সামনে আসছে। সর্বাধুনিক এআই এজেন্ট জিম্যাট, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।
সুপরিচিত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড গিগাবাইট যুক্তরাষ্ট্রে কনজ্যুমার প্রদর্শনীতে (সিইএস) আগামী প্রজন্মের এআই পিসি লাইনআপ প্রদর্শন করেছে।
জানা গেছে, নতুন লাইনআপে আছে গেমিং, সৃষ্টিশীলতা ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স। বিশেষ বৈশিষ্ট্য এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজ জিপিইউ, এএমডি রাইজেন এআই, ইন্টেল এনপিইউ ও মাইক্রোসফট কপিলট সমন্বিত এআই প্রযুক্তি। নির্মাতারা জানান, অরাস মাস্টার, অ্যারো ও গিগাবাইট গেমিং সিরিজের সবক’টি ল্যাপটপে উইন্ডফোর্স কুলিং, উন্নত টাইপিং অভিজ্ঞতা ও মাইক্রোসফটের এআই ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। বিশেষত, অরাস মাস্টার সিরিজ ১৮ ইঞ্চি মিনি-এলইডি ডিসপ্লে, ইনটেল কোর আলট্রা ৯ প্রসেসর ও আরটিএক্স ৫০৯০ জিপিইউর সমন্বয়ে গেমারদের পরিষেবা নিশ্চিত করবে।
ওজন ১ দশমিক ৯ কেজি। গড়নে ১৬ দশিমক ৭ মিলিমিটার পাতলা। অ্যারো এক্স-১৬ দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ ও বহনযোগ্যতার সঙ্গে মাল্টিটাস্কিং পরিষেবায় কাজ করবে। ডলবি অ্যাটমস
সমৃদ্ধ সাউন্ড সিস্টেম প্রতিটি মডেলে সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এআই প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’