Samakal:
2025-04-01@18:09:35 GMT

ফুলের জলসায় সুরের উচ্ছ্বাস

Published: 18th, January 2025 GMT

ফুলের জলসায় সুরের উচ্ছ্বাস

একদিকে ফুলের জলসা, অন্যদিকে সুরের উচ্ছ্বাস। কাওয়ালি, বাউল গান আর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে মঞ্চ মাতাচ্ছেন শিল্পীরা। পাশের সরোবরে ঝরনাধারার উচ্ছলতা। বৈচিত্র্যময় পিঠার আয়োজনে চলে মনভোজন। ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে ফুল উৎসব জমজমাট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ১৮ হাজার দর্শনার্থী ফুলের মেলায় আসছেন। তবে ছুটির দিনে তা ছাড়িয়ে যায় লাখের কোটা। 
ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে গত ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। গত শুক্রবার ১৩তম দিনে আড়াই লাখ দর্শনার্থী ফুল উসবে এসেছেন বলে জানিয়েছে আয়োজকপক্ষ। চলতি সপ্তাহে চলছে (১৭-২৩ জানুয়ারি) পিঠা উৎসব। ফুল উৎসবে কথা হয় সপরিবারে ঢাকা থেকে আসা মেট্রোরেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এত প্রজাতির একত্রে ফুলের সমারোহ খুব কমই দেখা যায়। ১৩৬ প্রজাতির ফুল দেখে মন ভরে গেছে। মনোরম পরিবেশে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ফুলের উৎসব প্রতিটি মানুষকে মুগ্ধ করবে। যোগাযোগব্যবস্থাও ভালো রয়েছে।’
ঢাকা থেকে আসা নাদিয়া আহমেদ বলেন, ‘মেলায় দেখলাম বেশির ভাগ বিদেশি প্রজাতির শীতকালীন ফুল। ২৫ ধরনের গোলাপ, স্টক, গেজানিয়া, ক্যামেলিয়া, হলিহক, স্নোবক, নেসটিয়াম, লিলিয়াম, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুল রয়েছে। প্রথমদিন ফুল উৎসবে আসতে রাত হয়ে যাওয়ায় ভালোভাবে দেখা হয়নি। পরের দিন সারাদিন ফুলের সুবাস নিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সঞ্চালক মাইকে ঘোষণা করলেন, কাওয়ালি নিয়ে আসছেন শিল্পী সায়েম সানি। ফুল বাগান থেকে এসে দাঁড়িয়ে কাওয়ালি উপভোগ করেন শত শত মানুষ। ১২তম দিনে বাউল ও কাউয়ালি গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। শুধু গান নয়, নৃত্যের ছন্দেও আপ্লুত দর্শকরা। 
মুনমুন বণিক যখন গাইতে শুরু করলেন তখন দর্শকরা চেয়ার ছেড়ে দিয়ে নাচে মশগুল। এরপর গাইলেন বাউলা নাজিম, শান্তা দাশ, অনন্যা বড়ুয়া।
এ সময় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন বিভাগীয় কমিশনার মো.

জিয়াউদ্দীন। তারাও সুরের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, তারা ১৪ জন নৃত্য ও ২০ জন গানের শিল্পী ছয় ঘণ্টা পারফরম্যান্স করার প্রস্তুতি নিয়ে ডিসি পার্কে গিয়েছিলেন। সময়ের কারণে সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘কাওয়ালি গানে দর্শকরা মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিলেন। শিল্পীরাও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শিল্পীদের পরিবেশনা ও দর্শকদের
 

উচ্ছ্বাস দেখে আমি অভিভুত।’ সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্পীদের গানের তালে দর্শকদের নাচ অনেক ভালো লেগেছে। 
পা ফেলা জায়গা নেই পার্কে : সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২০ হাজার দর্শনার্থী টিকেট কেটে পার্কে প্রবেশ করেছেন। গত ১৩ দিনেই অনলাইন টিকেট কেটে পার্কে এসেছেন আড়াই লাখ দর্শনার্থী। 
শুক্রবার বিকেলে থেকে মূল ফুল উৎসব এলাকায় পা ফেলার জায়গা ছিল না। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে এসেছেন। অনেকে ঘুরে ঘুরে ফুল দেখছেন, আর ছবি তুলছেন। ফুল বাগানের ঠিক দক্ষিণ পাশে লোহার চেয়ারে বসেছিলেন বয়সী দুজন। তাদের একজন নিজাম উদ্দিন, তিনি বন বিভাগের একজন অবসরপাপ্ত কর্মকর্তা। থাকেন চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায়। নিজাম উদ্দিন বলেন, মন ভালো রাখতে মাঝে মধ্যে ডিসি পার্কে বেড়াতে আসেন তিনি। ফুল, মানুষের আনাগোনা ভালই উপভোগ করেন তিনি।
চকরিয়া থেকে ডিসি পার্কে আসেন কাতার প্রবাসী হেলাল শিকদার। তিনি বলেন, ‘পরিবার ও কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একটি গাড়ি ভাড়া করে এসেছি। শত ফুলের মধ্যে স্যালোসিয়া নামের ফুলটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।’  
উৎসবে কথা হয় সাইফুদ্দিন নামে আরেক দর্শনার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যারা ফুল পাহারা দিচ্ছেন, তারা গাইড হিসেবে নিজ মাচার ফুলের নামগুলো মুখস্থ রাখতে পারতেন। যারা ফুল চেনেন না, তারা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারতেন।’ 
ডিসি পার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবারে দর্শনার্থীদের চাপ বেশি থাকে। দর্শনার্থীদের চাপ সামাল নেয়ার আগাম প্রস্তুতিও থাকে আমাদের।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে গড়ে প্রতিদিন ১৮ হাজারের বেশি দর্শনার্থী ডিসি পার্কে প্রবেশ করছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল উৎসব উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ উৎসবের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের

শাহী ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্রসহ  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে সুলতানি মোঘল আমলের কায়দায় রাজধানীতে ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে এই ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ আনন্দ উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের এই আনন্দের দিনে আমি মনে করতে চাই সেসব শহীদ ভাইদের কথা, যাদের কারণে আজকের ঈদ এতো আনন্দময় হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ শতবর্ষী ঈদ উদযাপনের যে ঐতিহ্য, তা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছরও একইভাবে আমরা নগরবাসী ঈদ উদযাপন করব।’’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘ঈদের দিন ঘরে বসে আমাদের আর ঈদ পালন করতে হবে না। আমরা ঈদ আনন্দ করব, ঈদ মিছিল করব। একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করব।’’

ঢাকা/হাসান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসবে হজমের সমস্যা এড়াতে যা করবেন
  • ছোটবেলার ঈদ ঝামেলাবিহীন, সহজ-সরল ছিল: নুসরাত ফারিয়া
  • দল বেঁধে বেড়ানোর যে উৎসব ছিল, তা আর নেই, কী কঠিন বড় হওয়াটা
  • উৎসবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটাতে করণীয়
  • আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে ঈদ আয়োজন করা হবে: আসিফ মাহমুদ
  • একটা জিনিস বুঝেছি, বাবা-মা ছাড়া ঈদ করা কঠিন: ন্যান্সি
  • সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদে সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদের দিনটা কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য আর কিছুই থাকে না
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ উৎসবের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের