চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের (সিআইএমসি) যুগপূর্তি উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে ‘সিআইএমসি দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়। সিআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা, স্মারকের মোড়ক উন্মোচন, মেজবা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 
সকাল ৯টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য (চট্টগ্রাম-১৫) মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা.

একেএম ফজলুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন– ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন সোসাইটি অ্যান্ড হেলথের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, সিআইএমসির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূরুন নবী, সিআইডিসির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন আকবর, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির হোসাইন, অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতান, অধ্যাপক মো. আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রায়হানুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবদুল্লাহ আল মাহবুব নাজমুল ও তাহমিনা আক্তার ইমু। 
আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এ স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভবিষ্যতে ২০ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল কমপ্লেক্স করা হবে।’
অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। যে কারণে কম সময়ের মধ্যেই দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পলান সরকারের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা

আলোর ফেরিওয়ালাখ্যাত পলান সরকারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার এ উপলক্ষে প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে বন্ধুসভার উদ্যোগে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম আলোর রাজশাহী বন্ধুসভার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, বন্ধুসভার বন্ধু দেবযানি বিশ্বাস, মো. আসিফ ইমতিয়াজ, নাহিদ হাসান, সুশীল পাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আলোকিত মানুষ পলান সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে হবে। এ জন্য বই পড়ার কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। নিজে বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তাঁরা।

পলান সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামে পলান সরকার পাঠাগারে দোয়া অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ১ মার্চ ৯৮ বছর বয়সে পলান সরকারের মৃত্যু হয়। ১৯২১ সালের ১ আগস্ট পলান সরকার জন্মগ্রহণ করেন। নিজের টাকায় বই কিনে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই বই দিয়ে আসতেন। পড়া শেষ হলে নতুন বই দিয়ে পুরোনো বইটি ফেরত নিয়ে আসতেন। এভাবে তিনি এলাকায় বই পড়ার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই অবদানের জন্য ২০১১ সালে পলান সরকার একুশে পদকে ভূষিত হন। পলান সরকারকে নিয়ে ২০০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে ‘বিনিপয়সায় বই বিলাই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোক্তা ভোগালেই ব্যবস্থা নেবে যৌথ বাহিনী
  • জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ
  • ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে আখেরে ভালো হয় না: সিইসি
  • ঈদ উপলক্ষে বাটার নতুন কালেকশন
  • হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারে রমজান উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন
  • আজ থেকে টানা ৪০ দিন ছুটি, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতদিন
  • কোনো গাড়িতেই নেই ডিম নামেমাত্র গরুর মাংস
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ
  • ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • পলান সরকারের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা