চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার উদ্যোগে নবমবারের মতো ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন। প্রতি বছর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য। এবারও বিতর্ক ও কূটনীতি আলোচনায় সরগরম হয়ে উঠেছে সম্মেলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন সম্মেলনে। অংশগ্রহণ করেছেন– নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ক্যামেরুন, গাম্বিয়া, আইভরি কোস্ট, উগান্ডা, সিয়েরা লিওন, নাইজেরিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা।
সম্মেলনটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য যুব নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি উদ্ভাবনের প্রসার’। শিক্ষার্থীরা ৮টি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে জাতিসংঘের আলোকে কূটনৈতিক আলেচনায় অংশ নেন। কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে– জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ-১, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা, অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকার।
১৫ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উপাচার্য বলেন, ‘প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী সুযোগ। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সমগ্র বাংলাদেশ ও বিদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে যুবসমাজের সম্পৃক্ততা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ করে দেয়।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। আমাদের উদ্ভাবনী উপায়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে কীভাবে তরুণদের অগ্রগতিতে সম্পৃক্ত করা যায় এবং কীভাবে তাদের বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তির জন্য উপযুক্ত করে তোলা যায়।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্সি এডুকেশন চট্টগ্রামের উপাধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এমন অসংখ্য দক্ষতা অর্জন করতে পারে, যা তাদের মানসিকতাকে বিকশিত করে এবং তা ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মগুলোয় কীভাবে জড়িত হতে হয়, তা শিখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের একক ইভেন্টে একজন শিক্ষার্থী শুধু বৈশ্বিক সমস্যা এবং সেগুলো কেবল সমাধান করার উপায়ই নয় বরং পেশাদারভাবে উপস্থাপন করার উপায়গুলি সম্পর্কেও শেখে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।