সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহানকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় শোকজ করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে আরও দুই নেতাকে। গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদার সই করা অফিস আদেশে এ শোকজ ও বদলি করা হয়।

বৃহস্পতিবার সিলেট গ্যাস ফিল্ডস প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দপ্তরের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসর উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনায় শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য দেন কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উসমানী আলী। আব্দুস সোবহান তার বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ না করলেও পরদিন শুক্রবার সোবহানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। দু’দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, শনিবার বদলি করা হয়েছে কর্মচারী লীগের (সিবিএ) প্রচার সম্পাদকজুনিয়র কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল ইসলাম এবং সিবিএ নেতা জুনিয়র কম্পিউটার অপারেটর মঞ্জুর আহমদকে। এদের মধ্যে নাজমুলকে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ও মঞ্জুরকে বিয়ানীবাজার ফিল্ডে বদলি করা হয়। তারা সিবিএ নেতা আব্দুস সোবহানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। 

গত বৃহস্পতিবার মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) পান্না লাল ধরের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় ব ল বদল

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার

চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল। 
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ