লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা জাকির হোসেনের (৩৫) ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মিরিকপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

আহত জাকির হোসেন ভাঙ্গা খা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি। 

আরো পড়ুন:

অটোরিকশা চালকদের মারধরে ৩ পুলিশ আহত

রাজশাহীতে যুবদল নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গুলিবিদ্ধ বাবার মৃত্যু

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের জাকির হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠুর বিরোধ দীর্ঘদিনের। আজ রাতে স্থানীয় মিরিকপুর বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন জাকির। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন গতিরোধ করে তার ওপর হামলা চালায়। পরে জাকিরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হোসেনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

হাসপাতালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর স্বপন বলেন, “হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ