জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জবিস্থ ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টামন্ডলীর স্বাক্ষরিত  বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আংশিক  কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন  বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি ও  ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । 

কমিটির অন্যরা হলেন, সহ সভাপতি মাহমুদুর রহমান নাজিদ, ফাহিম শিকদার, নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাইফুর রহমান শিহাব, মোহাম্মদ আনন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবা উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নাফিজ উদ্দিন ও দপ্তর সম্পাদক জাহিদুর ইসলাম রিফাত।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমার জন্ম ফেনীতে। ফেনীকে আমি মনেপ্রাণে ধারণ করি। একইভাবে ফেনীর সবাই আমার কাছে ভালোবাসার। জবিস্থ ফেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে পারা আমার জন্য আনন্দের। আমি তাদের প্রয়োজনে পাশে ছিলাম, এখন সাংগঠনিকভাবে পাশে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো তাদের জন্য কাজ করে যাওয়ার।”

সভাপতি শরিফুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত নিজের জেলার শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে জেলা ছাত্রকল্যাণ গঠিত হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমার মনে হয় সভাপতি হওয়া যে রকম আনন্দের, পাশাপাশি দায়িত্বও কিন্তু আরো বহুগুণে বেড়ে গেছে। জেলা ছাত্রকল্যাণের সব প্রতিবন্ধকতাগুলো শনাক্ত করে সংগঠনকে আরো গতিশীল করাই আমাদের লক্ষ্য।”

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রকল য ণ ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা 

জেলা প্রশাসক থেকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কসবা প্রেস ক্লাবের চার শতক জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুললেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

জানা যায়, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সাংবাদিক কার্তিক কর্মকারের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনা হয়। কার্তিক কর্মকার আরও দুই শতক জমি দান করেন। ২০১৭ সালে ২৪ মে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দেন। ২০২২ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা প্রেস ক্লাবকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা নান্দনিক প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে পৌরসভা থেকে মাটি পরীক্ষা, ভবনের নকশাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর আলম লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই জমি ঘিরে থাকা ২৪টি বাউন্ডারি পিলার ভেঙে রড, সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটসহ ১০-১১ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। সেখানে ভবনের কাজ শুরু করতে চাইলে প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে কসবা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমকে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়েও জাহাঙ্গীর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর তুলেছেন। 

কসবা থানার ওসি আবদুল কাদিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি রাজি হননি। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকেও জানানো হয়েছে। এর পরও তিনি কথা শোনেননি। উল্টো পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম স্বপন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আরও অনেকের জায়গা দখল করে বিএনপির মুখে চুনকালি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। 

কসবা-আখাউড়ার বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, ভূমিদস্যূ ও জুলুমবাজদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা বিএনপির নাম বিক্রি করে ফায়দা লুটছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ