‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায় নিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে মাগুরা স্টেডিয়াম থেকে জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামের এ মিনি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এসময় শতাধিক ব্যক্তি ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করেন।
মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা জেলা স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের নতুন বাজার, কেশব মোড়, চৌরাঙ্গী মোড় পারন্দুয়ালী হয়ে ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়।
এ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদির, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানসহ অন্যরা।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহম্মদ অহিদুল ইসলাম বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। মিনি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা পরিবেশ সুরাক্ষা ও পলিথিন বর্জনের সচেতনার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা রাখবে। বর্তমান সরকারের যে উদ্দেশ্য রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করব।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।