প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরের দিনই মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের একজন শীর্ষ সীমান্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসা রিপাবলিকান ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপ হবে এটি। এর মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রচারণার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন মঙ্গলবার থেকে শিকাগোতে ‘অভিবাসন অভিযান’ চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) এবং অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ফক্স নিউজে ট্রাম্পের আসন্ন ‘সীমান্ত জার’ টম হোমনের অভিযানের বিষয়টি জানিয়েছেন।

হোমান,ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সীমান্তে অভিবাসী বাবা-মা এবং শিশুদের পৃথক করার নীতি তত্ত্বাবধান করেছিলেন। 

তিনি বলেছেন, “দেশের অনেক জায়গায় বড় অভিযান হতে চলেছে। শিকাগো অনেক জায়গার মধ্যে একটি মাত্র। মঙ্গলবার, আইসিই অবশেষে তাদের কাজ করতে বের হয়ে পড়বে।”

হোমান আরো বলেন, “আমরা আইসিইকে নির্দেশ দিয়েছি ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই অভিবাসন আইন বলবৎ করার। প্রথমে সবচেয়ে খারাপ, জননিরাপত্তার হুমকির দিকে মনোনিবেশ করা হবে। কিন্তু কেউই বাদ যাবে না। যারা অবৈধভাবে দেশে রয়েছে তাদের সমস্যা হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ