লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
Published: 18th, January 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল এক সপ্তাহ পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। এসময় লুট হওয়া পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেডসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার করা ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েলের বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন, নৌ পুলিশের কর্মকর্তা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী উপজেলার চর-সলিমাবাদ ভূতের মোড় ঘাট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এ ফার্নেস অয়েল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী (৩৯) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু (২৬), বরগুনার সড়ক গাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চাঁন খানের ছেলে রিয়াজ খান (২২) ও লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২২)।
চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন জানান, গত (১০ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ছয় কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহী বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ফার্নেস অয়েল বোঝাই জাহাজটি টঙ্গীর কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় (১১ জানুয়ারি) জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। নৌ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান চলছিল।
তিনি বলেন, “অবশেষে সাত দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের নৌ পুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
এই উদ্ধার অভিযানে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা, চৌহালী নৌ পুলিশ ফাড়ির (ওসি) আরিফ হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানার এস.
ঢাকা/রাসেল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার
ইন্দুরকানীর নিখোঁজ কিশোর সাব্বির হোসেনকে ছয় দিন পর ঢাকার নারায়ণগঞ্জের এক রিকশাচালকের বাসায় পাওয়া গেছে। তিন দিন আগে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন ওই রিকশাচালক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে আটো গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় অটোতে থাকা অজ্ঞান পার্টির লোকজন তাকে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গভীর রাতে সাব্বিরকে পরে থাকতে দেখে রিকশাচালক আব্দুর জব্বার তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে যায়। তিন দিন পর তার জ্ঞান ফেরে। শনিবার বিকেলে সাব্বির ফোন করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।
সাব্বিরের বাবা জলিল শেখ বলেন, ছেলের খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। খুব চিন্তায় ছিলাম। তাকে অজ্ঞান পার্টি ধরেছিল। এক রিকশাচালক ভাই তাকে উদ্ধার করেছে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, নিখোঁজ সাব্বিরকে ঢাকায় পাওয়া গেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।