মুন্সীগঞ্জের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল এক সপ্তাহ পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। এসময় লুট হওয়া পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেডসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

উদ্ধার করা ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েলের বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন, নৌ পুলিশের কর্মকর্তা।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী উপজেলার চর-সলিমাবাদ ভূতের মোড় ঘাট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এ ফার্নেস অয়েল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী (৩৯) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু (২৬), বরগুনার সড়ক গাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চাঁন খানের ছেলে রিয়াজ খান (২২) ও লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২২)।

চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন জানান, গত (১০ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ছয় কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহী বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ফার্নেস অয়েল বোঝাই জাহাজটি টঙ্গীর কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় (১১ জানুয়ারি) জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। নৌ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান চলছিল।

তিনি বলেন, “অবশেষে সাত দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের নৌ পুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।”

এই উদ্ধার অভিযানে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা, চৌহালী নৌ পুলিশ ফাড়ির (ওসি) আরিফ হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানার এস.

আই ইমরান হাসান অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

ঢাকা/রাসেল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ট হওয়

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে আগুনে ঝুটের গুদাম ও এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় আগুনে একটি ঝুটের গুদাম ও একটি এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ ঝুটের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাশে থাকা এমব্রয়ডারি কারখানায়ও ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘এই টাকা দিলে মান-সম্মান থাকে?’ বলা সেই ওসিকে বদলি
  • শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে নদী ভাবনা
  • সোনারগাঁয়ে জামায়াতের ব্যাপক গণসংযোগ
  • আড়াইহাজার থানার সেই ওসি এনায়েত অবশেষে বদলি
  • স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী
  • বন্দর থানা (মহানগর) জাসাস’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
  • স্ত্রীকে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশে বসেছিলেন রব মিয়া
  • পেশাজীবী গাড়িচালকদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক
  • নারায়ণগঞ্জে আগুনে ঝুটের গুদাম ও এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে