বর্তমান বিশ্বে বইয়ের সংখ্যা এতবেশি যে, তা কোনো একটি নির্দিষ্ট কক্ষে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব না। তবে ডিজিটালাইজেশনের ফলে অনেক উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের এ সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি হয়েছে ই-লাইব্রেরি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি আছে। এর পাশাপাশি আছে একটি ই-লাইব্রেরিও। কিন্তু সে সম্পর্কে জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ই-লাইব্রেরি সম্পর্কে তারা অবগত না। প্রশাসন এ সম্পর্কে তেমন কোন প্রচারণা করেনি বলেও দাবি করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইয়াজ লালন বলেন, “না, এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। প্রশাসন থেকেও তো কিছুই জানানো হয়নি।”

লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিয়ন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লাইব্রেরি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। তবে আমার মতে ই-লাইব্রেরি থাকলে যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক বই পেতে পারব।”

একই শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহা মীম বলেন, “না, আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।”

ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.

আসিফ বলেন, “ই-লাইব্রেরি সম্পর্কে জানতামই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কারো থেকেই ই-লাইব্রেরির বিষয়ে খুব একটা অ্যাওয়ারনেস ছড়ানো হয় না। এখন জানলাম সামনে এক্সপ্লোর করে দেখব, কুবি ই-লাইব্রেরি ফিজিক্যাল লাইব্রেরির সমস্যা কতটুকু লাঘব করতে পেরেছে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. মুহিউদ্দীন আলম বলেন, “আমাদের এ ই-লাইব্রেরির সিস্টেমটা কিছুদিন একটু সমস্যার কারণে বন্ধ ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয়েছে এটি চলছে। শিক্ষার্থীরা চাইলেই যথাযথ উপায়ে সাইটে গিয়ে ই-লাইব্রেরির সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে। আমাদের লাইব্রেরিতে যে কম্পিউটারগুলো আছে সেগুলো থেকে তারা চাইলেই এই সুবিধা নিতে পারবে।”

ই-লাইব্রেরির এক্সেসের বিষয় তিনি বলেন, “তারা নিজেদের ডিভাইসে ই-লাইব্রেরির সুবিধা নিতে হলে www.openathens.net এই সাইটে গিয়ে login ক্লিক করবে। পরবর্তীতে login to MyAthens অপশনে ক্লিক করে নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম খোঁজার জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখে Comilla University সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তী পেইজে তাদের কাছে একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে। সেখানে তারা User ID এর জায়গায় coue-resource এবং Password এর মধ্যে cou.library2006 লিখে লগইন বাটনে ক্লিক করলেই ই-লাইব্রেরির সাইটে লগইন করতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ই-লাইব্রেরির মাঝে বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, টেইলর অ্যান্ড ফ্রেঞ্চিস, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের মতো বেশ কয়েকটি প্রথম সারির পাবলিকেশন আছে। আমরা প্রয়োজনে আরও সংযোজন করবো।”

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করে ইবি থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটকরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও সাদ্দাম হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা মারুফ আহমেদ।

জানা গেছে, সমাজকল্যাণ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষায় ওই দুই নেতা অংশগ্রহণ করতে আসেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনে জড়ো হন।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের নেতারা সেখানে উপস্থিত হন। ওই ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে রক্ষা করে থানায় সোপর্দ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আটক নাঈম ও মারুফ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকি দেন। তারও আগে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। আন্দোলনে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য আজ তারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আটক দুইজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিল, প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সেখানে সমবেত হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “যেহেতু তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, তাই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।”

ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুইজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন সংক্রান্ত একটি মামলা থানায় রয়েছে। সেই মামলাতেই তাদের চালান করা হবে।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক মাসের ছুটিতে মেয়েরা, কোচ চেয়েছিলেন ‘ছোট্ট বিরতি’
  • অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি
  •  ফতুল্লায় নারী প্রতারক বিথীর খপ্পড়ে পড়ে নিঃস্ব যুবক
  • ইউক্রেনে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিচ্ছে ফ্রান্স-যুক্ত
  • কেয়া গ্রুপে শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • ‘আমাকে কয়েক সপ্তাহ সময় দিন,’ বললেন ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককালাম
  • ইবিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক
  • নতুন দলের পরবর্তী কর্মকাণ্ডের দিকে দৃষ্টি সব দলের
  • বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে
  • বাড়তে পারে তাপমাত্রা, ঝরতে পারে বৃষ্টি