সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
Published: 18th, January 2025 GMT
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় এ মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলায় কলেজের ১৭টি বিভাগ ও আটটি বিভিন্ন সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টল দেয়। স্টলগুলোতে অন্তত ৪০ ধরনের পিঠা ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
উদ্বোধন শেষে অতিথিরা প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন। এরপর স্টল পরিদর্শনে আসেন বিচারক বৃন্দ।
মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলা বিভাগ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে সমাজকর্ম ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।
এদিকে, পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার মানুষজনও পিঠার স্বাদ নিতে মেলা আসেন।
পিঠার স্বাদ নিতে আশা দর্শনার্থীরা বলেন, ঢাকার মধ্যে এমন আয়োজন সত্যিই অসাধারণ। প্রতিটি স্টলে গ্রাম বাংলার রকমারি সব পিঠা সাজিয়ে বসেছে। আমরা যারা ঢাকাতে থাকি, তাদের পক্ষে আসলে একসঙ্গে এতগুলো পিঠা বানানো কখনোই সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা একসঙ্গে এতগুলো পিঠার স্বাদ নিতে পারছি। তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড.
ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত
বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির এ দেশে অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে আরাকান আর্মি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ রোববার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ ও ১৭ এপ্রিল ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে। সেখানে তারা স্থানীয় উপজাতিদের নিয়ে জলকেলি উৎসব পালন করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, তারা শুধু জলকেলি উৎসব পালন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, ওই উৎসবের সচিত্র ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউএলএ’ এবং স্থানীয় জনগণ ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সীমানার ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর এক মারাত্মক হুমকি ও উদ্বেগজনক। ওই সময় আমাদের সরকার, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনী কী করছিল? এটা বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য চরম ব্যর্থতা। এ ধরনের উদাসীনতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। দেশবাসী এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চায়।’
বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আরাকান আর্মির ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।